বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাথার উপর বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা। সেই ঋণ পরিশোধের টাকা জোগাড় করতে গিয়েই কালঘাম ছুটছে ভারতের (India) এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের।সবচেয়ে বড় কথা, চিনের (India-China) সাথে হাত মিলিয়েই চরম সংকটে পড়েছে এই দেশ। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। বলা বাহুল্য, এই দেশটির আর্থিক সঙ্কটের বিষয়ে অনেক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ)।
চিনের কারণেই বেহাল দশা ভারতের (India-China) এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের
এবার ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ঋণ সঙ্কট পরিস্থিতি আইএমএফের আশঙ্কাকেই মান্যতা দিল বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহল। কেন ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপরাষ্ট্রটির অর্থনৈতিক অবস্থার এতটা পতন হল? বিশেষজ্ঞদের মতে, গলা অবধি দেনায় ডুবে রয়েছে দেশটি। ২০২৫ ও ২০২৬ সালের মধ্যে বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করতে হবে এই দেশটিকে।
আরও পড়ুন : স্পিকারে বাজবে “পেমেন্ট সাকসেসফুল”! কিন্তু টাকা ঢুকছে না অ্যাকাউন্টে! বাংলা জুড়ে নতুন জালিয়াতি
পাশাপাশি ইন্ডিয়ার এই প্রতিবেশী দেশের বিদেশী মুদ্রার ভান্ডারও এখন তলানিতে। ক্রমশ পতন হচ্ছে সে দেশের মুদ্রার দামে। এবার কি আন্দাজ করতে পারছেন কোন দেশের কথা বলা হচ্ছে? দেশটি হল ভারতের (India) এক প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপ। বর্তমানে মলদ্বীপের (Maldives) অর্থনীতির (Economy) এক্কেবারে বেহাল দশা।
আরও পড়ুন : তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে যুবতীকে ‘ধর্ষণ’! এবার হাইকোর্টে দায়ের মামলা, চাপে শাসক শিবির
‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, বর্তমানে মলদ্বীপের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ গিয়ে পৌঁছেছে ৩৪০ কোটি ডলারে। এই বিপুল পরিমাণ ঋণের সিংহভাগ নেওয়া চিন এবং ভারতের থেকে। আপাতত ২০২৫ সালে ৬০ কোটি ডলার ও ২০২৬ সালে ১০০ কোটি ডলারের ঋণ পরিশোধ করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ এই দ্বীপরাষ্ট্রের কাছে।
আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মুইজ্জুর সরকার। বিদেশি পর্যটকদের উপর কর বৃদ্ধি, সরকারি কর্মচারীদের বেতন সঙ্কোচ, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রির পাশাপাশি উপসাগরীয় দেশগুলির কাছে আর্থিক সহায়তাও চেয়েছে মলদ্বীপ। তবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এখনও মলদ্বীপের আর্থিক সাহায্য প্রার্থনার বিষয়টি নিয়ে কোনও রকম ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
পাশাপাশি, ২০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা প্রার্থনা করা হয়েছে চিনের ‘চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক’-এর কাছেও। সূত্রের খবর, ‘বন্ধু’ চিনের (China) কাছ থেকেও এখনও আর্থিক সাহায্যের ব্যাপারে মেলেনি সদুত্তর। ঘোর বিপদে পড়তেই কি মলদ্বীপের উপর থেকে সাহায্যের হাত সরিয়ে ফেলতে চাইছে বেজিং? এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে সে দেশের অন্দরে।