নেহা ধূপিয়াকে বড়পর্দায় শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল ‘হেলিকপ্টার ইলা’ তে। তারপর ছোটপর্দায় ‘রোডিস’ এ দেখা গিয়েছিল তাকে।আন্তর্জাতিক স্তন পান সপ্তাহে মাতৃত্ব ও সন্তানকে পান করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মন্তব্য করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেই ভিডিওতে সন্তানের মুখ দেখাননি তিনি।
সেই ভিডিওতে তিনি মা হওয়ার হওয়ার পর কীভাবে কাজ ও সন্তানের জন্য সময় ভাগ করে নিয়েছেন সেই বিষয়ে কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, গত ৮ মাস তাঁর কাছে ভীষণই কঠিন ছিল। মা হওয়ার বিষয়টা তাঁর কাছে এক্কেবারেই সহজ ছিল না। মেয়ের জন্য অনেক রাত জেগেই কাটাতে হয়েছে তাঁকে। শেষে তিনি এই কথাও বলেছেন, তার মেয়ে মেহেরের বড় করার ক্ষেত্রে অঙ্গদ এবং তার পরিবারের অন্যান্যদের সাহায্যের কথা।
সন্তানকে স্তন্যপান করানোর কথায় তিনি বলেছেন, “টানা ৬ মাস শুধুমাত্র স্তন্যপান করানো ছাড়া মেহেরকে খাওয়ানোর আর কিছুই ছিল না। তাই এটা মা হিসাবে আমার কাছে ভীষণই কঠিন ছিল। বিশেষ করে যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হত তখন ওকে কীভাবে খাওয়াবো আমি বুঝতে পারতাম না। এমনও হয়েছে, বিমানে করে কোথাও যাচ্ছি অথচ মেহেরের (নেহার মেয়ে) খিদে পেয়েছে। ওকে কীভাবে খাওয়াবো বুঝতে পারছিলাম না। অগত্যা বিমানের শৌচাগারে গিয়ে বসে ওকে স্তন্যপান করাতে হয়েছে। কারণ, মা হিসাবে সন্তান যখন খিদের জন্য কাঁদবে সেটা সহ্য করা যায় না। টানা ১৫ মিনিট শৌচাগার আটকে রাখার জন্য আমি অন্য যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। তবে আমার মনে হয়েছে সন্তানকে স্তনপান করা নিয়ে প্রত্যেক মায়ের স্বাধীনতা থাকা উচিত। এখানে কোনও জড়তা থাকা ঠিক নয়। আন্তর্জাতিক স্তন্যপান দিবসে আমি পৃথিবীর সমস্ত মায়েদের এবিষয়ে উৎসাহ দিতে চাই। আমি চাইব স্তন্যপান নিয়ে সব মায়েরাই তাঁদের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন”।