অভিনব প্রতিবাদ! ১৫ লক্ষ টাকার গাড়ি খারাপ হয়ে যেতেই ডাস্টবিন বানিয়ে ঘোরানো হল গোটা শহর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে নতুন গাড়ি কিনেছিলেন এক ব্যক্তি। যদিও, কয়েকদিন যেতে না যেতেই গাড়িটিকে রীতিমতো ডাস্টবিন (Dustbin) বানিয়ে ফেললেন তিনি। হ্যাঁ, প্রথমে শুনে অদ্ভুত মনে হলেও এর পেছনে রয়েছে একটি কারণও। এই ঘটনাটি ইতিমধ্যেই তোলপাড় করে দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media)। পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত ভিডিও দেখে অবাক হয়েছেন নেটিজেনরাও।

মাহিন্দ্রার নতুন XUV300 হয়ে গেল ডাস্টবিন: এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা শহরে। সেখানে বিনোদ সবরওয়াল নামে এক ব্যক্তি গত ১৩ ডিসেম্বর মাহিন্দ্রার শোরুম থেকে মাহিন্দ্রার নতুন লোগো সহ লঞ্চ করা XUV300 SUV গাড়িটি কেনেন। পাশাপাশি, ওই গাড়িটি কিনতে তাঁর ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়।

এমতাবস্থায় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিনোদ নতুন ওই গাড়িটিকে কিনে তাঁর পরিবারের সঙ্গে মাতা চিন্তাপূর্ণির উদ্দেশ্যে রওনা হন। যদিও, ফেরার সময়ে ওই গাড়িটিতে কিছু সমস্যা নজরে পড়ে। পাশাপাশি, বিনোদ বুঝতে পারেন যে, ওই গাড়িটি সঠিক পারফরম্যান্স দিচ্ছে না। এমনকি কিছুক্ষণ পরে, গাড়িটি থেমে যায় এবং সেটি আর স্টার্টও নেয়নি।

এদিকে, ওই ঘটনার সম্মুখীন হয়ে বিনোদ গাড়িটির শোরুমের ম্যানেজারকে ফোন করে বিষয়টি জানান। তারপর রাত ১ টার দিকে শোরুমের কর্মচারীরা তাঁর গাড়িটি নিতে আসেন। এমনকি, অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে, বিনোদকে পায়ে হেঁটেই বাড়িতে ফিরতে হয়ে। বিনোদের অভিযোগ, প্রায় ১০ দিন তাঁকে সার্ভিস সেন্টারে যেতে হয়েছিল। তারপরেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।

তিনি এই অভিযোগ করেন: পাশাপাশি, বিনোদ শোরুমের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করেন যে, শোরুমের কর্মচারীরা গাড়িতে পুরোনো জিনিসপত্র লাগিয়ে দিয়েছে। গাড়ি নিতে গিয়ে তিনি দেখেন জিনিসগুলি পরিবর্তন করা হয়েছে। বিনোদ বলেন যে কর্মচারীরা তাঁর গাড়িটি ২০০ কিলোমিটার চালিয়েছিল। এমনকি, গাড়ির সামনের বাম্পারটিও ছিল ভিন্ন রঙের। পাশাপাশি, কোম্পানির লোগোটিও পরিবর্তন করা হয়।

তাঁর মতে, সংস্থার কর্মীরা বিনোদের কোনো কথা শোনেননি এবং তিনি এক মাস যাবৎ শোরুমের চক্কর কাটেন। এমতাবস্থায়, বিনোদ যখন সার্ভিস সেন্টারে দৌড়োতে দৌড়োতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তখন তিনি একটি অনন্য উপায়ে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মাহিন্দ্রা কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তিনি গাড়ির পুরো অংশে “USE ME” স্টিকার সাঁটিয়ে গাড়িটিকে ডাস্টবিনে পরিণত করেন। পাশাপাশি, সেখানে একটি পোস্টারে লেখা হয়, বিনোদ সবরওয়ালের কাছে আনন্দ মাহিন্দ্রার ১৫ লক্ষ টাকার ডাস্টবিন আছে। যা আম্বানি বা আদানি কারোর কাছেই নেই। সেইসঙ্গে তিনি সেখানে ফোন নম্বরটিও দিয়ে দেন।

এমতাবস্থায়, সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিনোদ শোরুমকে গাড়িটি ফেরত নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এদিকে, এই পুরো বিষয়টি নিয়ে শোরুমের তরফে বলা হয়েছে, গাড়িটি ভেঙে যাওয়ার পরে তারা ঠিক করেছিল। তারপরও গাড়ির মালিক তাদের ব্ল্যাকমেল করছে। এমতাবস্থায়, পুলিশ ও আইনজীবীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর