স্টেশন মাস্টারের অফিসে ঢুকে ‘বসের” মত বসে বিশালাকার কেউটে! তারপরে যা হল জানলে শিউরে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাপকে ভয় পান না এমন মানুষ কার্যত খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আবার সেই সাপ যদি কেউটের মত তীব্র বিষধর হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। কারণ, এই সাপ কাউকে কামড়ালে সঠিক চিকিৎসা না পেলেই মৃত্যু অনিবার্য। এমনকি, আমাদের দেশে প্রতি বছরই বিষধর সব সাপের কামড়ে প্রাণ হারান হাজার হাজার মানুষ। আর এরফলেই সাপের মত প্রাণী থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখেন সবাই। যদিও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে খাদ্যের সন্ধানে এই সাপগুলি নিজে থেকেই মানুষের খুব কাছাকাছি চলে আসে। আর তাতেই ঘটে বিপদ।

সম্প্রতি ঠিক সেইরকমই এক ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত একটি ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটমাধ্যমে। যা দেখে কার্যত চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের। যেখানে দেখা গিয়েছে একটি রেল স্টেশনের অফিসের ভিতরে ঢুকে রীতিমতো রাজকীয়ভাবে বসে রয়েছে নাগরাজ। এদিকে, ব্যস্ত সময়ে বিশালাকার কেউটের এহেন উপস্থিতিতে কালঘাম ছুটেছে সবার।

জানা গিয়েছে যে, কোটা বিভাগের অন্তর্গত একটি স্টেশনের অফিস ডেস্কেই এমন বিরল এবং ভয়াবহ দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে। যেখানে প্রায় ৬ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি বিশালাকার কেউটে সাপ সরাসরি রেল স্টেশনের অফিসের ডেস্কে উঠে ফণা তুলে বসে থাকে। মূলত, এই প্রসঙ্গে ভাইরাল হওয়া ওই ছবিটিতে দেখা গিয়েছে যে, ওই স্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেলের পাশেই বিপজ্জনকভাবে বসে রয়েছে সাপটি।

এমনকি, সেখানে কর্তব্যরত অফিসারকেও ছবিটিতে দেখা যায় যিনি বিপদ এড়াতে খানিকটা দূরে ছিলেন। জানা গিয়েছে যে, গত বুধবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। মূলত, কোটা বিভাগের অন্তর্গত রাওয়াথা রোড স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে প্রবেশ করেছিল সাপটি। এদিকে, ইতিমধ্যেই @journalistjha নামের একটি টুইটার হ্যান্ডেলে এই ছবি পোস্ট করা হয়েছে।

পাশাপাশি, পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে যে, “কোটা বিভাগের রাওয়াথা রোডের (আরডিটি) প্যানেল রুমে একটি ছয় ফুট কেউটে ঢুকে রেল অফিসারের টেবিলে বসেছিল। তবে, এই ঘটনা ট্রেন পরিষেবাকে প্রভাবিত করেনি। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ারিং/মেডিক্যাল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন পড়ুয়ারা আসেন।”

এদিকে, এই ছবি সামনে আসার পর থেকেই তা রীতিমতো হইচই ফেলে দেয় নেটমাধ্যমে। পাশাপাশি, নেটিজেনরাও নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন। তবে, অনেকেই বিভিন্ন মজাদার কমেন্ট করলেও অধিকাংশজনই সঠিক সময়ে সাপটি নজরে আসায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করেছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর