বন্দে ভারতের খাবারের মেনুতে এবার বড়সড় পরিবর্তন! চমকে দেবে রেলের “এলাহি আয়োজন”

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশজুড়ে যে ট্রেনটি রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সেটি হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। ইতিমধ্যেই আমাদের রাজ্যে হাওড়া-জলপাইগুড়ি এবং হাওড়া-পুরী রুটে সফর শুরু হয়েছে এই সেমি-হাইস্পিড ট্রেনের। মূলত, এই ট্রেনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিতে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়। তার সাথে থাকে খাওয়াদাওয়ার এলাহি আয়োজনও।

উল্লেখ্য যে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যাত্রীদের জন্য খাবারের মেনুতে প্রাতরাশ থেকে শুরু করে লাঞ্চ এবং ডিনার প্রতিটি ক্ষেত্রেই নানান লোভনীয় পদ থাকে। এছাড়াও থাকে চা, টিফিন ও স্ন্যাক্সের ব্যবস্থাও। এমতাবস্থায়, সদ্য চালু হওয়া হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত ট্রেনের খাওয়া-দাওয়ার মেনু জানলে রীতিমতো চোখ কপালে উঠবে আপনার।

এই প্রসঙ্গে IRCTC-র অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, এইচআর তথা পিআর মধুমিতা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, হাওড়া থেকে পুরীগামী বন্দে ভারতে এগজিকিউটিভ ক্লাসের যাত্রীদেরকে প্রথমে টি-ব্যাগ দেওয়ার পাশাপাশি দেওয়া হবে চিনি বা গুড় বা সুগার ফ্রি এবং দুধ, বিস্কুট বা কুকিজ। তার ঠিক পরেই প্রাতরাশ হিসেবে মিলবে ওটস বা মুসলি বা কর্নফ্লেকস অথবা রাগি বাইটস কিংবা চকোস।

এর পাশাপাশি প্রাতরাশে সামিল থাকছে লুচি, ছোলার ডাল বা আলুর দম, ২ টি ভেজিটেবল কাটলেট ও দই সহ ফলও। এছাড়াও মিলবে একটি ডিম ছাড়া মাফিন বা ব্রাউনি অথবা ফ্রুট কেক বা ওয়ালনাট কেক। এদিকে, একজিকিউটিভ শ্রেণির যাত্রীদের জন্য রয়েছে টমেটো স্যুপের ব্যবস্থাও।

এমতাবস্থায়, মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজে থাকছে একাধিক খাবার। যার মধ্যে রয়েছে বান পাউরুটির পাশাপাশি পিস পোলাও, পরোটা, মুগের ডাল, মটর পনির সহ আমিষ পদের ক্ষেত্রে থাকছে বাঙালি ধাঁচে রান্না করা চিকেন কষা। এমনকি, কোনো কোনো দিন মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজে চিকেন কষার বদলে থাকতে পারে চিকেন রোস্ট বা মাছের ঝোলও। শেষ পাতে অবশ্য পেয়ে যাবেন সাদা বা মিষ্টি দই, আইসক্রিম এবং একাধিক মিষ্টির বিকল্প।

vande bharat menu(1)

এদিকে, জানা গিয়েছে পুরী থেকে হাওড়া আসার সময়ে বন্দে ভারতের এগজিকিউটিভ ক্লাসের যাত্রীদের জন্য সন্ধ্যেবেলায় দেওয়া হবে চিজ স্যান্ডউইচ, শিঙাড়া, বাদাম বা নারকেলের চিক্কি বা ক্যারামেল পপকর্ন। এছাড়াও থাকবে আলুর ভুজিয়া কিংবা চানাচুর বা ঝালমুড়ির প্যাকেট। সাথে থাকবে চা, কফি গ্রিন টি এবং লেমন টি-র বিকল্প।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর