ঘরে নেই টাকা, বাবা সামান্য কৃষক! সেই চাষির ছেলেই মাধ্যমিকের সেরা দশে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Pariksha) ছাত্র জীবনের প্রথম সবথেকে বড় পরীক্ষা‌‌। ২০২৪ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ২ রা মে বেরিয়েছে। পরীক্ষা শেষে ৮০ দিনের মাথায় এই বছরের ফল প্রকাশ হল। ২০২৪ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ রা ফেব্রুয়ারি আর শেষ হয় ১২ ই ফেব্রুয়ারি। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও সকালের দিকেই মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে কালিয়াচকের চারজন মেধাবী ছাত্র। প্রত্যেকেই মালদহ জেলার কালিয়াচক আবাসিক মিশনের পড়ুয়া।

২০২৪ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে কালিয়াচকের মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন আলী, বিশাল চন্দ্র মন্ডল, আমিনুল ইসলাম ও বিশাল মন্ডল জায়গা করে নিয়েছে। তারা যথাক্রমে রাজ্যে ষষ্ঠ, নবম, নবম ও দশম স্থান অধিকার করেছ। জেলায় প্রথম আর রাজ্যে ষষ্ঠ হয়েছে শাহাবুদ্দিন। সে এক দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। তার বাবা সৈফুদ্দিন আহমেদ চাষবাস করেই রোজগার করেন। আর সেই টাকা দিয়েই ছেলেকে পড়াশোনা শেখাচ্ছেন তিনি। মা শিউলী খাতুন একজন গৃহবধূ। শাহাবুদ্দিনের তিন ভাইবোন রয়েছে। বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় সে।

২০২৪ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি মালদহ জেলার কালিয়াচকের একটি আবাসিক মিশন থেকে নিয়েছিল সে। পড়াশোনার পাশাপাশি বই পড়তে আর ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করে শাহাবুদ্দিন। সে জানিয়েছে, ২০২৪ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে প্রতিদিন ৬ ঘন্টা থেকে ৭ ঘন্টা পড়াশোনা করত। ভালো ফলাফল করার উপায় জানতে তাকে প্রশ্ন করা হলে, সে জানায় ভালোভাবে পাঠ্য বই খুঁটিয়ে পড়লেই নম্বর পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:কোভিশিল্ড বিতর্কের জের! করোনা টিকা শংসাপত্র থেকে সরল মোদীর ছবি, কেন এই পদক্ষেপ?

একই আবাসিক মিশন থেকে পড়াশোনা করে মোজমপুর স্কুলের পড়ুয়া আমিনুল ইসলাম ২০২৪ মাধ্যমিকে ৬৮৫ নম্বর পেয়েছে। আমিনুল কৃষক পরিবারের সন্তান। তার বাবা নুরুল ইসলাম একজন চাষী আর মা মেহবুবা একজন আইসিডিএস কর্মী। সে বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়।

আরও পড়ুন:মুঘল ইতিহাস মুছে দেওয়ার প্ল্যান! একটা, দুটো নয়, যোগীরাজ্যে আরও ৮টি স্টেশনের নাম বদলাচ্ছে রেল

একই নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম হয়েছে মালদহের আরে মেধাবী ছাত্র। সেও মজমপুর হাই স্কুলের পড়ুয়া। ৬৮৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম হয়েছে বিশাল চন্দ্র মন্ডল। তার বাবা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। সেও বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। এই একই স্কুলের আরেকজন পড়ুয়া বিশাল মন্ডল ৬৮৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করেছে। সে কালিয়াচকের গোলাপগঞ্জের বাসিন্দা। তার বাবা একজন বিএসএফ কর্মী। বিশাল জানিয়েছে সে বড় হয়ে ডাক্তার হবে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর