ব্যর্থ ইঞ্জিনিয়াররা! মন্দিরে ৩৭০০ কেজি ওজনের ঘন্টা ঝোলালেন এক মুসলিম রাজমিস্ত্রি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে হিজাব বিতর্ক সহ একাধিক ধর্মীয় উষ্কানীমূলক ঘটনা ঘটলেও এবার এক নজিরবিহীন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাক্ষী থাকল মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর। জানা গিয়েছে যে, নাহরু খান নামে একজন মুসলিম রাজমিস্ত্রি পশুপতিনাথ মন্দিরের প্রাঙ্গণে একটি ৩,৭০০ কেজির মহাঘন্টা স্থাপন করেছেন।

মূলত এই মহাঘন্টাটি দীর্ঘদিন মন্দির চত্বরে রাখা থাকলেও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তা ঝোলানো হয়নি। এমনকি, অনেক বড় বড় ইঞ্জিনিয়ার এসেও এই মহাঘন্টা বসানোর সাহস দেখাতে পারেননি। কারণ, তাঁরাও দুর্ঘটনার কথা ভেবে পিছিয়ে আসেন। তবে, এই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন নাহরু খান।

এই ৩,৭০০ কেজির মহাঘণ্টা অনেক আগেই মন্দির প্রাঙ্গণে স্থাপনের জন্য আনা হয়েছিল কিন্তু কিছুতেই তা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে নাহরুর হাত ধরেই সম্পন্ন হয় এই কাজ। এদিকে, এই কাজের জন্য কোনো টাকা না নিয়ে পশুপতিনাথ মন্দিরে এই মহাঘন্টা স্থাপন করেছেন নাহরু। গতি রবিবার সন্ধ্যায় এটিকে বাজানোও হয়।

এই প্রসঙ্গে মন্দসৌরের বিধায়ক যশপাল সিং সিসোদিয়া বলেছেন যে, “নাহরু ভাই বিশ্বাস করেন যে, তিনি সামাজিক এবং ধর্মীয় কাজে নিযুক্ত আছেন। আমি এবং ডিএম সাহেব অনুরোধ করেছিলাম, তারপর নাহরু খান মন্দির চত্বরে একটি পাদদেশ তৈরি করে সেখানে ঘন্টাটি লাগিয়ে দেন।”

এছাড়াও, মন্দসৌরের জেলাশাসক গৌতম সিং জানিয়েছেন যে, “মহাঘন্টা প্রতিষ্ঠা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। নাহরু খান প্রায় ১৫ দিন সময় নিয়ে নিরাপদে মহাঘন্টাটি স্থাপন করতে সক্ষম হন।”

ghnta

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মহাঘন্টাটি প্রায় ৬ ফুট লম্বা এবং এর ব্যাস প্রায় ৬৬.৫০ ইঞ্চি। পাশাপাশি, এই মহাঘন্টা বাজানোর জন্য ২০০ কেজিরও বেশি একটি দোলনা প্রস্তুত করা হয়েছে। শিশুরাও সহজেই এটি বাজাতে সক্ষম হবে। কারণ, এটাতে বেয়ারিং দেওয়া আছে। তবে, নাহরুর এই মহতী কাজে তাঁকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলেই।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর