করোনা সংক্রমণ রুখতে এক বিশেষ ডিভাইস আবিষ্কার করল বাংলার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সুইচ বোর্ডে (switch board) হাত না দিয়েই চলবে পাখা। জ্বালানো যাবে লাইটও। কিন্তু তা কি করে সম্ভব? কোন কিছুই অসম্ভব নয়। করোনা আতঙ্কের এই লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে বসেই ‘নন কনট্যাক্ট সুইচিং সিস্টেম’ বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন আসানসোলের (Asansol) কামরান হাসান। সুতরাং স্পর্শের কোন ভয় থাকছে না। আর আপনি যে কোন জায়গায় গিয়ে সহজেই আলো, পাখা জ্বালাতে পারবনে।

আসানসোলের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র হল কামরান হাসান। প্রথম বর্ষের মধ্যেই এই অভূতপূর্ব সাড়া জাগানো আবিস্কারে অভিভূত তার শিক্ষকও।

fan2স্পর্শ না করেই জ্বলবে আলো, ঘুরবে পাখা
করোনা ভাইরাস যেহেতু স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে, তাই এক্ষেত্রে আপনার কোন কিছু স্পর্শ করতে হবে না। শুধুমাত্র একটি ডিভাইস ব্যবহার করেই আপনি সুইচ অন অফ করতে পারবেন। আল্ট্রা সোনিক সিস্টেম রয়েছে এই ডিভাইসের মধ্যে। যার দ্বারাই আপনি বিনা স্পর্শে, দূরত্ব বজায় রেখেই আলো, সর্বপরি গ্রীষ্মে পাখা চালাতে পারবেন।

নন কনট্যাক্ট সুইচিং সিস্টেম
লকডাউনের মধ্যে যখন ঘরে বসে সকলে সময় কাটানোর জন্য গান, নাচ, ছবি আঁকা, ইউটিউব ভিডিও করার প্রতি আগ্রহী হয়েছে, তখন কামরান হাসান করে ফেললেন এক অভিনব আবিষ্কার। এই ‘নন কনট্যাক্ট সুইচিং সিস্টেম’ বানাতে তার মোট খরচ হয়েছে মাত্র ৩৬০ টাকা। ছাত্রাবস্থায় তার আবিস্কৃত এই প্রজেক্টে তাঁকে তার শিক্ষক সৌমেন সেনও অনেক সাহযায় করেছে বলেও জানা কামরান।

new 222 6

অভিভূত কলেজ অধ্যক্ষ
ছাত্রের এই আবিস্কারে তাঁকে অনেক বাহবা দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্যও। ছাত্রের কাজকে উৎসাহ দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই অভিনব প্রকল্পটিকে আগামীদিনে আমাদের কলেজেও ব্যবহার করা হবে। এছাড়া অন্য কোনো স্কুল, কলেজ যদি এই প্রকল্পের ব্যবহার করতে চায়, তাহলে আমরা তাঁদের পাশে আছি”।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর