বড় সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের! বিচ্ছেদের পর অলসভাবে বসে থাকা স্ত্রী ভরণপোষণ দাবি করতে পারবেন না স্বামীর থেকে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কর্ণাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court) ভরণপোষণ এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, একজন স্ত্রী, যিনি আগে চাকরি করতেন তিনি অলসভাবে বসে থাকতে পারেন না এবং বিচ্ছেদের পর স্বামীর কাছ থেকে সম্পূর্ণ ভরণপোষণ দাবি করতে পারেন না। পাশাপাশি, তাঁর জীবিকার জন্য অবশ্যই চেষ্টা করা উচিত বলেও জানিয়েছে আদালত।

মূলত, একজন মহিলা এবং তাঁর সন্তানের দ্বারা দায়ের করা একটি মামলায় বিচারপতি রাজেন্দ্র বাদামিকরের সিঙ্গেল বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি চলছিল। এই শুনানির পর আদালত জানিয়ে দেয় যে, বিয়ের পর ওই মহিলা কেন চাকরি করতে পারছিলেন না তার কোনো সঠিক ব্যাখ্যা মেলেনি।

যদিও, বিয়ের আগে ওই মহিলা চাকরি করতেন এবং নিজের জন্য উপার্জন করতেন। কর্ণাটক হাইকোর্ট জানিয়েছে যে, “তিনি (ওই মহিলা) অলসভাবে বসে থেকে স্বামীর কাছ থেকে পুরো ভরণপোষণ এইভাবে চাইতে পারেন না। বরং, তিনি তাঁর জীবিকা নির্বাহের জন্য কিছু প্রচেষ্টা করার ক্ষেত্রে আইনত বাধ্য রয়েছেন।”

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কর্তৃক ভরণপোষণের পরিমাণের হ্রাসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওই মহিলা পিটিশন দায়ের করেছিলেন। এদিকে, সেশন কোর্টের আদেশ অনুসারে ভরণপোষণের আর্থিক পরিমাণ ১০,০০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫,০০০ এবং ক্ষতিপূরণ ৩ লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে ২ লক্ষ টাকা করা হয়েছিল।

এমতাবস্থায়, ওই মহিলা দাবি জানিয়েছিলেন যে, তাঁকে দেওয়া ক্ষতিপূরণের পরিমাণ অপর্যাপ্ত ছিল। পাশাপাশি, আরও অভিযোগ করেছিলেন যে, সেশন কোর্ট কোনো যথাযথ যুক্তি ছাড়াই এই অর্থের পরিমাণ হ্রাস করেছে।

A wife cannot claim maintenance from her husband idly after separation

এদিকে, হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছে যে, ওই মহিলা শ্বাশুড়ি এবং ননদের সঙ্গে একসাথে থাকতে রাজি ছিলেন না। এমতাবস্থায়, আদালত উল্লেখ করেছে, তাঁর স্বামী কিন্তু মা এবং বোনের যত্ন নিতেন। আর এইভাবেই সামগ্রিক বিষয় মাথায় রেখে হাইকোর্ট শেষ পর্যন্ত এই আবেদন খারিজ করে দেয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর