বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ফের একবার ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সম্প্রতি নিজের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। আর সেই মনোনয়নপত্র (Nomination) নিয়েই এবাই এবার তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে অভিষেকের মনোনয়নপত্র নিয়ে একটি বিরাট দাবি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিগত পাঁচ বছরে অভিষেকের স্ত্রীয়ের নাম এবং প্যান নম্বর বদলে গিয়েছে! কীভাবে এমনটা হল? তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।
সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে দাবি করা হয়, উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ২৪ এপ্রিল ২০১৯-এ নিজের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে নিজের স্ত্রীয়ের নাম উল্লেখ করেছিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। সেই সঙ্গেই প্যান নম্বর দেওয়া হয়েছিল, ‘AJNPN2286R’। তবে চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে অভিষেক যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, সেখানে স্ত্রীয়ের নাম লিখেছেন রুজিরা নারুলা। শুধু তাই নয়, পাল্টে গিয়েছে তাঁর প্যান নম্বরও!
আরও পড়ুন: উনিশের মতোই উঠবে গেরুয়া ঝড়? বাংলায় কত আসন পাবে তৃণমূল? বিরাট দাবি প্রশান্ত কিশোরের
সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে দাবি করা হয়, খোঁজখবর নিয়ে তাঁরা জানতে পেরেছেন অভিষেকের স্ত্রীয়ের দু’টি প্যান কার্ডই বর্তমানে সচল রয়েছে। বিদেশিদের জন্য কি আলাদা নিয়ম? প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর মধ্যে একটি প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করা রয়েছে এবং দ্বিতীয়টি বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
নাম এবং প্যান কার্ড নম্বরের পাশাপাশি রুজিরার বার্ষিক আয়েও বড় পরিবর্তন এসেছে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম। রীতিমতো কাগজ তুলে ধরে তারা দাবি করেন, উনিশের লোকসভা ভোটের আগে জমা দেওয়া অভিষেকের মনোনয়নপত্রে বলে হয়েছিল ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে রুজিরার আয়ের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৫১ লক্ষ ৬১ হাজার ১৫০ টাকা। এদিকে অভিষেকের সদ্য জমা দেওয়া মনোনয়নপত্রে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে রুজিরার আয় লেখা হয়েছে, ‘Not Applicable’।
অভিষেক-পত্নীর নামের পাশাপাশি তাঁর শ্বশুরের নামও বদলে গিয়েছে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম। স্বাভাবিকভাবেই এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর এই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। কীভাবে পাঁচ বছরের মধ্যে বদলে গেল অভিষেকের স্ত্রীয়ের নাম? দু’টো প্যানও বা হল কীভাবে? আপাতত ভোটের বাজারে এই নিয়ে পড়ে গিয়েছে শোরগোল!