বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বারো বছর অপেক্ষার পর মিলল জয়। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে বাবার মৃত্যুকালীন চাকরির সুবিধা (ডাইং ইন হারনেস) পেতে চলেছেন উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) বাসিন্দা মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়ে জানায়, বাবার অবর্তমানে তাঁর মেয়েকে সেই চাকরি দিতে হবে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় গ্রুপ ডি পদে চাকরি করতেন মৌসুমির বাবা পুলকরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১২ সালের অগস্ট মাসে ৫৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান। কর্মরত অবস্থায় বাবার মৃত্যু হলে ডাইং ইন হারনেসে ওই চাকরির জন্য আবেদন করেন মেয়ে মৌসুমি। যদিও তার আবেদন গ্রাহ্য হয়নি।
মৌসুমি বিবাহিত বলে তার আবেদন খারিজ করে দেয়। সংস্থার এই যুক্তির বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মৌসুমি। দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চলে এরপর পরে গত এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ওই চাকরি আবেদনকারী মৌসুমীকে দিতে হবে। তিনি নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য।
এদিকে বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠলে সংস্থার তরফে আইনজীবী বলেন, বিবাহিত মেয়ের ক্ষেত্রে এই চাকরি দেওয়া হয় না, তিনি এই নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য নন। ওদিকে পাল্টা সওয়াল করেন মামলাকারীর আইনজীবী। শেষপর্যন্ত সংস্থার আর্জি খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন ডিভিশন বেঞ্চ। মৌসুমীকে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়।