মদের নেশায় টলছেন প্রধান শিক্ষক! হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল আরামবাগবাসী, স্কুলে তালা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্টাফ রুম ম’ম করছে মদের গন্ধে। বাধ্য হয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন অন্যান্য শিক্ষক- শিক্ষিকারা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক (Headmaster) কথা বলার সময় তোতলাচ্ছেন। ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করতে গিয়ে এক অভিভাবিকা সাক্ষী হলেন এমন ঘটনার। এরপরে গোটা ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে আরামবাগে (Arambagh)। রটে যায় মদ্যপ (Drunk) অবস্থায় প্রধান শিক্ষক স্কুলে এসেছেন। এরপর গ্রামবাসীরা (Villagers) ফেটে পড়েন ক্ষোভে। স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।

জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের এই ঘটনায় অভিভাবক থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা বিরক্ত সবাই। যদিও এত কিছুর পরেও প্রধান শিক্ষকের দাবি, তিনি শুধুমাত্র পান মশলা খেয়েছেন। অভিভাবক থেকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, সবাই বলছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার সিংহ প্রতিদিন মদ্যপান করে স্কুলে আসেন। এর আগে প্রধান এসে ওনাকে সতর্ক করে গিয়েছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার সোনালী সেন তার ছেলেকে এই স্কুলে ভর্তি করাতে এসেছিলেন। এই কান্ড দেখে রীতিমতো হতবাক তিনি। তিনি বলেছেন, “স্কুলে এসেছিলাম ছেলেকে ভর্তি করাতে। এসে দেখি সব স্যারেরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাইরে। বলছেন ভিতরে গিয়ে দেখো। স্টাফ রুমে ঢুকে দেখি অসম্ভব মদের গন্ধ। প্রধান শিক্ষক তোতলাচ্ছেন।” এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা প্রশ্ন তুলেছেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকই যদি মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসেন তাহলে কী শিখবে পড়ুয়ারা?

এক অভিভাবিকার কথায়, “প্রধান শিক্ষক এত মদ্যপান করেন যে তার ঘরে ঢোকা যায় না। এই স্কুলে দুই বছর ধরে আমার মেয়ে পড়ছে। প্রত্যেকদিন দেখছি দুই বছর ধরে। যদি এই ঘটনা আর চলে বাধ্য হব গণধোলাই দিতে।” যদিও প্রধান শিক্ষক এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “সকালে আমি মদ্যপান করেছিলাম। এখন গন্ধ ছড়াচ্ছে বিমল খাচ্ছি বলে।”

Drunk HM school

যদিও গ্রামবাসীরা এই ঘটনার পর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুল থেকে বার করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন স্কুলের গেটে। স্পষ্ট ভাবে তারা জানান, উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তালা ঝোলানো থাকবে স্কুলে। আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দীপক মাজি বলেন, ‘‘খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। সব খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর