দুর্ঘটনায় হারিয়ে ছিল ছেলের প্রাণ! বিধবা পূত্রবধূর ফের গাঁটছড়া বাঁধলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাত বছর আগে মারা (Death) গিয়েছে বাড়ির ছেলে। এরপর একাকী জীবন কাটছিল গৃহবধুর। শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা সাত বছর পর সেই বিধবা গৃহবধুর বিয়ে (Marriage) দিলেন। বাড়ির মেয়ের মতোই শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা নিয়ম মত আয়োজন করেন বিয়ের। বিধবা গৃহবধূর ভাসুর করেন কন্যা সম্প্রদান।

বৃহস্পতিবার এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী থাকলো আসানসোলের (Asansol) ঘাগরবুড়ি মন্দির। ২০১৬ সালে দুর্গাপুরের বাসিন্দা রিম্পির বিয়ে হয় হরিপুরের কেন্দা এলাকার বাসিন্দা স্বপন চট্টোপাধ্যায়ের কনিষ্ঠ সন্তান ধীরজের সাথে। সেই বছরই ধীরজ চাঁদা মোড়ে একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। এরপর রিম্পি শ্বশুরবাড়িতেই থাকছিলেন। তার বয়স বর্তমানে ২৭ বছর।

এত অল্প বয়সে বিধবা হয়ে রিম্পি কিভাবে বাকি জীবন কাটাবেন তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন শশুর বাড়ির লোকেরা। শ্বশুর বাড়ির লোকেরা রিম্পিকে নিজেদের মেয়ের মতো ভালোবাসেন। রিম্পিও তাদের নিজের করে নিয়েছেন। ভবিষ্যতের কথা ভেবে রিম্পিকে ফের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টোপাধ্যায় পরিবার। শ্বশুর বাড়ির লোকেরা রিম্পির দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ে ঠিক করেন আসানসোলের কাখয়া এলাকার বাসিন্দা রঘুনাথ রায়ের সাথে।

asansol

বিয়ের দিন রিম্পির ভাসুর পৃথ্বীরাজ বলেছেন, “যেভাবে মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয় সেভাবেই আমরা রিম্পির বিয়ে দিয়েছি। আমরা চাই ওর বাকি জীবনটা সুন্দর হোক।” অপরদিকে, পাত্রের কাকা কেশব রায় বলেছেন, “মেয়েটির স্বামী সাত বছর আগে মারা গিয়েছে। ওর বাকি জীবনটা যাতে হতাশ হয়ে না কাটে তাই আমরা এই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বিয়ে স্থির করেছি আমার ভাইপোর সাথে।”

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর