‘কপ্টার থেকে পড়ে ঠ্যাঙ ভাঙল, দুদিন পরেই ব্যাঙ্গালুরুতে ফুর্তি’, মমতাকে নিয়ে বিস্ফোরক বন্দনা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। সবার নজর এখন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র দিকে। যেই জোটের অন্যতম মুখ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চলতি সপ্তাহেই বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৈঠকে যোগ দিতে বেঙ্গালুরুরে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী আর দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখানে গিয়ে সমস্ত শত্রুতা ভুলে বাম কংগ্রেসের সাথেও আড্ডা-গল্পে মেতে ওঠেন দোলনেত্রী। সেই নিয়েই যখন জোর চৰ্চা সর্বত্র ঠিক তখনই পিসি-ভাইপোকে নিয়ে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন বন্দনা শর্মা (Bandana Sharma) নামের এক মহিলা। আর তার রাগ ক্ষোভ সবটাই ধরা পড়ল আমাদের বাংলাহান্ট এর ক্যামেরায়।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে প্রচারের জন্য উত্তরবঙ্গ যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই উড়ানের পরই দুর্যোগের কবলে পড়ে মমতার হেলিকপ্টার। সেই সময় জরুরি অবতরণে নামতে গিয়ে কোমরে এবং পায়ে ভীষণ ভাবে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক একদিন আগে এসএসকেএম এ মমতার সার্জারিও হয়। মূলত এই প্রসঙ্গ তুলেই মমতাকে তোপ দাগা শুরু করেন ওই মহিলা। ঝাঁঝালো ভাষায় আক্রমণ শানান নেত্রীকে।

ঠিক কি বলেন বন্দনা শর্মা? ক্যামেরার সামনে ওই মহিলা বলেন, ‘হেলিকপ্টার থেকে পড়ে ঠ্যাঙ ভাঙল, নড়তে পারছিল না, আর তার পরেই ব্যাঙ্গালুরুতে ফুর্তি করতে চলে গেল মা-ছেলে। সেখানে গিয়ে রাহুল-সোনিয়ার সাথে বসে মিটিং করলেন কিভাবে? এর থেকে সুদীপ, সৌগত, ববি হাকিম ওনারা কি দোষ করল! শুধু মা-ছেলেই কেন গেল। ভাইপোদের কোনও নাম নেই। ‘

তার কথায়, ‘মমতা নিজেকে হিন্দু মহিলা হিসেবে পরিচয় দেয় কিভাবে। সামনের সপ্তাহেই আসছে হাসান হোসেন দিন। একটা হিন্দু কাজে ডাকছে না। কোনও হিন্দু কাজে যাবে না। এদিকে ওই দিন দু হাত তুলে আজান পড়ছে। ” এখানেই শেষ নয়! মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক প্রকল্পের উল্লেখ করেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি বলেন, “নাম দিয়েছে স্বাস্থ্যসাথী আর নিভিয়ে দিচ্ছে জীবনবাতি। নাম দিয়েছে লক্ষীর ভাণ্ডার, আসলে যার জিনিস তাকেই দিচ্ছে। নাম দিয়েছে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী আর সংসার চালাতে মেকআপ করে চলেছে দেহ বিক্রি। নাম দিয়েছে বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা এদিকে কেড়ে নিচ্ছে জীবন-সম্পত্তি। নাম দিয়েছে যুবসাথী, ওদিকে চাকরি চাইতে গেলে মারছে লাথি।”

bandana sharma 2

তৃণমূল সুপ্রিমোকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “মা-ছেলেকে বাংলা থেকে বিদায় করুন। ওদের অ্যারেস্ট করান। গতকালই তো দেখলাম মমতা সোনিয়া আর ওর ছেলের সঙ্গে ফুসফুস করছে। মোদী নাকি ভারত বেঁচবে! সবার আগে ডাইনি নিয়েই তো বাংলা বেঁচে খেয়ে নিয়েছে। সবাই মিলে এদের আগে বিদায় করুক।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর