‘তৃণমূলের অনেক কম নেতাই জেলে রয়েছে’, কলকাতায় পা রেখেই বললেন সপা প্রধান অখিলেশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার সকালেই বাংলায় (West Bengal) পা রেখেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। আর কলকাতায় নেমেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপিকে (BJP) কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তিনি।  নেতার দাবি, ইডি-সিবিআই সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সি গুলির অপব্যবহার করছে মোদী সরকার। শুধু তাই নয়, বাংলায় অনেক কম নেতাই জেলে আছেন বলেও মন্তব্য করেন সপা সুপ্রিমো।

টানা তিনদিনের একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাজ্যে এসেছেন অখিলেশ। শুক্রবারই কালীঘাটে তৃণমূল তরফে গুরুত্বপূর্ণ দলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন মমতা, অভিষেক সহ দলের নেতারা। অন্যদিকে, এই বৈঠকের পরই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন অখিলেশ যাদব। সপা প্রধানের সঙ্গে মমতার (Mamata Banerjee) এই সাক্ষাৎ যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অবকাশ রাখে না।

মোদীকে পরাজিত করতে বৃহত্তম দুই রাজ্যের দুই প্রধান মমতা-অখিলেশ একজোট হয়েছেন। শক্তিশালী এই জোটে আরও আঞ্চলিক দলও যোগ দেবে বলেই ধরা হচ্ছে। যাদবের সঙ্গে আজকের বৈঠকে থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী কিরণ্ময় নন্দ। যদিও বৈঠক প্রসঙ্গে অখিলেশ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। তবে কী নিয়ে কথা হবে এখনই বলতে পারছি না।’

mamataakhilesh

এরপরই গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশে তোপ দেগে আক্রমনের সুরে অখিলেশ বলেন, ‘দেশে ইডি-সিবিআই-আয়কর দফতরকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে বিজেপি। ভারতীয় জনতা পার্টি যেসব নেতা-নেত্রীকে ভয় পায় তাদেরকেই ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এবং জেলে ভরে দেয়।’ পাশাপাশি নেতার সংযোজন, ‘বাংলায় অনেক কম নেতাই জেলে রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির অনেক নেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।’

নেতা আরও বলেন, “সংবিধানকে আক্রমণ করছে বিজেপি। গণতন্ত্রকে আক্রমণ করছে। বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করছে। দেশের মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এই নিয়ে কোন কথা বলছে না কেন্দ্র। কৃষকদের নিয়ে কথা , আলোচনা করতে চাইছেন না তাঁরা। এই নিয়ে কথা বলতে গেলেই আমাদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। আমাদের দেশ এখন অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়ছে। এর জন্য দায়ি একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার। ” খুব শীঘ্রই বিজেপি দেশ থেকে বিদায় নেবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর