বাংলা হান্ট ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার বাসিন্দা অনুভব দুবে। পেশায় তাঁর বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। তবে তিনি চাইতেন তাঁর ছেলে ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দিক। একসময় নিজের ইচ্ছাতেই UPSC পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে দিল্লি গিয়েছিলেন অনুভব। কিন্তু তখনও নিজের লক্ষ্য ঠিক করতে পারেননি অনুভব। বুঝে উঠতে পারেননি আদতে কী হতে চান তিনি। এরপর একটানা কিছুদিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে কাজও করেছিলেন অনুভব।
কিন্তু চাকরিতে কিষছুতেই মন বসাতে পারছিলেন না অনুভব। ভাবছিলেন নিজের কিছু করতে হবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। নিজের কিছু করার জন্য উদ্যোক্তা হিসেবেই নিজেকে দেখতে চেয়েছিলেন অনুভব। তাই ২০১৬ সালে UPSC পরীক্ষার পড়া ছেড়ে দিয়ে তিনি নিজের ব্যবসা শুরু করার চিন্তা ভাবনা শুরু করেন।
সেসময় এই কাজে অনুভব পাশে পেয়েছিলেন তাঁরই এক বন্ধু আনন্দ নায়েককে। একসাথেই নিজেদের ব্যবসা শুরু করেন তাঁরা। তাই সেসময় মাত্র ৩ লক্ষ টাকা দিয়েই এই চায়ের দোকানের ব্যবসা শুরু করেছিলেন তাঁরা। জানা যায় এই দুই বন্ধু প্রথমে একটি গার্লস হোস্টেলের সামনে তাঁদের প্রথম চায়ের দোকান খুলেছিলেন। পুঁজি কম থাকায়, ইন্টিরিয়র ডিজাইন থেকে, মার্কেটিং সবটাই নিজেদের মনের মত করে সাজিয়ে নিয়েছিলেন অনুভব আর আনন্দ।
আরও পড়ুন: দু’দিন পরেও ফিরে পেলেন না কোলের সন্তান! খালি হাতেই ফিরলেন নিগৃহীতা মা!
এমনকি ইন্দোরে তাদের প্রথম আউটলেটে ব্যানার লাগানোরও পয়সা ছিল না সেসময়। তাই কম খরচে একটা কাঠের টুকরোর উপর হাতে লিখেই তাঁরা চালু করেছিলেন ‘চায়ে সুট্টা বার’। ব্যাস তারপর বাকিটা তো ইতিহাস। আসলে এই নামেই ছিল জাদু। বর্তমানে সারা ভারতে মোট ১৯৫টি শহরে ৪০০টি আউটলেট রয়েছে ‘চায়ে সুট্টা বার’-এর। শুধু তাই নয় অনুভবের এই চায়ের দোকান দেশের সীমানা পেরিয়ে আসর জমিয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও।
জানা যাচ্ছে, দুবাই, ইউনাইটেড কিংডম, কানাডা, ওমান ইত্যাদি দেশেও তাঁদের আউটলেট খোলা হয়েছে। রিপোর্ট বলছে শুধু এই চায়ের আউটলেটে চা বিক্রি করেই সারা বছরে অনুভবের ১৫০ কোটি টাকার টার্নওভার হয়।তাই IAS হতে না পারলেও, কিংবা CA পড়া না হলেও। চায়ের দোকান দিয়ে সফল উদ্যোক্তা হিসাবে অনুভব দুবের সাফল্য অন্যতম এক দৃষ্টান্ত।