মাত্র ২২ বছর বয়সে UPSC পাশ করে IAS! অনন্যার সাফল্যের কাহিনি চমকে দেবে সবাইকে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার পড়ুয়া আমাদের দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা UPSC (Union Public Service Commission)-র প্রস্তুতি নেন। এই পরীক্ষায় পাশ করেই দেশের প্রশাসনিক স্তরে কাজ করার সুযোগ পান যোগ্য প্রার্থীরা। তবে, যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে প্রতিযোগিতা। এমনকি, কয়েক হাজার পড়ুয়া প্রতি বছর এই পরীক্ষা দিলেও তাঁদের মধ্যে মাত্র কিছুজনই সফলতা হাসিল করেন।

তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি মাত্র ২২ বছর বয়সেই এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। শুধু তাই নয়, UPSC-র মত কঠিন পরীক্ষায় প্রথমবার বসেই তিনি করে ফেলেছেন স্বপ্নপূরণ। মূলত, আজ আমরা প্রয়াগরাজের অনন্যা সিং-য়ের ব্যাপারে আপনাদের জানাবো। যিনি প্রত্যেকের কাছেই এক অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছেন।

জানা গিয়েছে, অনন্যা ছোটবেলা থেকেই IAS অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। পাশাপাশি, পড়াশোনাতেও তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। প্রয়াগরাজের সেন্ট মেরিস কনভেন্ট স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন অনন্যা। এমতাবস্থায়, দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় তিনি ৯৬ শতাংশ নম্বর এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ৯৮.২৫ শতাংশ নম্বর পান। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, তিনি এই দুই বোর্ড পরীক্ষায় CISCE বোর্ড থেকে জেলা টপার হয়ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রীরাম কলেজ অফ কমার্স থেকে অর্থনীতিতে অনার্স করেন। এমতাবস্থায়, স্নাতকস্তরের চূড়ান্তবর্ষে অনন্যা UPSC পরীক্ষার জন্য নিয়মিতভাবে প্রস্তুতি শুরু করেন। একদম প্রথম দিকে তিনি ৭-৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করলেও সিলেবাস শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি প্র্যাকটিসের জন্য ছয় ঘন্টা যাবৎ পড়াশোনা করতেন।

এমতাবস্থায়, ২০১৯ সালে UPSC CSE পরীক্ষা দেন তিনি। সবাইকে অবাক করে প্রথম চেষ্টাতেই ওই কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন অনন্যা। সমগ্ৰ দেশে ৫১ তম স্থান অর্জন করেন তিনি। আপাতত, IAS অফিসার হিসেবে অনন্যা পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত রয়েছেন। এদিকে, যেখানে এই পরীক্ষায় সফলতা পেতে বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করতে হয় মেধাবী পড়ুয়াদের, সেখানে অনন্যার এহেন ফলাফলে তিনি নিজেও অবাক হয়ে যান। মূলত, তিনি একই সঙ্গে প্রিলিমিনারি এবং মেইন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতেন।

WhatsApp Image 2022 08 21 at 5.46.30 PM 1

পাশাপাশি, নিজের পড়াশোনার পদ্ধতিটিও জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে অনন্যা বলেন, প্রথমেই তিনি ওই পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী বই সংগ্রহ শুরু করেছিলেন। পাশাপাশি, জোর দিয়েছিলেন নোট তৈরিতেও। সম্পূর্ণ নিজের ভাষায় লেখা ওই নোট পড়েই তিনি সাফল্য অর্জন করেন। পাশাপাশি, সেগুলি মুখস্থ করে বারংবার অনুশীলনও করতেন তিনি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর