প্রকাশ্যে এল আসল সত্যি! গালওয়ানে ভারতীয় সেনার তাড়ায় ডুবে মৃত্যু ৩৮ চিনা জওয়ানের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। ২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের প্যানগং হ্রদের কাছে বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় লালফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান ভারতীয় সেনারা। রক্তক্ষয়ী এই বিরাট সংঘর্ষে ২০ জন সেনাকে হারায় ভারত।

এদিকে, এই ঘটনার পরে ভারতীয় সেনার তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, বহু চিনা সেনারও মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বেজিং সেই সংখ্যা পুরোপুরি চেপে গিয়ে মাত্র ৪ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়। তবে, এবার জানা গিয়েছে যে, ৪ জন নয়, সেদিন ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা ফৌজের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল মোট ৪২ জন চিনা জওয়ানের।

ভারতীয় সেনার তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে গালওয়ান নদীতে ডুবে মৃত্যু হয় ৩৮ জন চিনা সেনার। আর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই উঠে এসেছে “দ্য ক্ল্যাক্সন” নামে অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রে। সেখানে দাবি করা হয়েছে যে, সেদিন গভীর রাতের ওই ভয়াবহ সংঘর্ষে মোট ৪২ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়।

মৃত চিনা সেনাদের দেহ লোপাটও করে দেওয়া হয়। রাতের অন্ধকারে গা-ঢাকা দিয়ে তাঁরা যখন নদী পেরোনোর চেষ্টা করছিলেন, তখন নদীর জলের তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের নীচে। খুব সম্ভবত, প্রবল ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরেই প্রাণ যায় তাঁদের।

গালওয়ান উপত্যকায় একটি অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণকে ঘিরে শুরু হয় অশান্তির। এর পালটা হিসেবে সীমান্তে “বাফার জোন” তৈরির কাজ শুরু করে চিন। এরপর ৬ জুন ৮০ জন চিনা সেনা ভারতের তৈরি সেতুটি ভাঙার জন্য উদ্যত হয়। সেইসময় আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয় যে “বাফার জোন” পেরিয়ে চিনা সেনা ফিরে যাবে।

Indian Army PTI 10

কিন্তু চিন সেই প্রতিশ্রুতি ভেঙে দেয়। ১৫ জুন গালওয়ানের বিতর্কিত এলাকা পরিদর্শনে ভারতীয় সেনারা পৌঁছলে তৎকালীন চিনা বাহিনীর কর্নেল কি ফ্যাবাও আচমকাই চিনা ফৌজকে ভারতীয় সেনার ওপর আক্রমণের নির্দেশ দেয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে “দ্য ক্ল্যাক্সন”-এর রিপোর্টে। যদিও, এরপর ভারতীয় সেনা ফ্যাবাওকে আটক করলে কাঁটা লাগানো লাঠি নিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের উপরে হামলা চালায় চিনা সেনা। সেখানেই শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। পাশাপাশি, প্রাণ হারায় চিনা সেনারাও।

সরকারিভাবে চিন এই গোটা ঘটনাই চেপে যায়। এমনকী, এ নিয়ে নানা মহলে জল্পনা শুরু হলেও মুখে কুলুপ আঁটে বেজিং। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে লালফৌজের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে যে, “চিনা সেনাবাহিনী তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। ঐক্যমতের ভিত্তিতে সীমান্তে তারা নিজস্ব কোনও পরিকাঠামো ভাঙেনি। উলটে গোপনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তৈরি সেতুটিই ভেঙে দেয় তারা।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর