আবহাওয়ার খবর: দাপিয়ে ব্যাটিং শীতের, শনিবার পাহাড় ও সমতলে রেকর্ড ভাঙা শীত

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ডিসেম্বরের শুরুটা বেশ ভালই ছিল, কিন্তু মাঝের পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কার্যত রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছিল পশ্চিমি ঝঞ্ঝা আর তাই তো বেশ কয়েক দিন শীতের আবহাওয়াতেও গরমের প্রভাব অনুভব করা গেছে, কিন্তু ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আবারও ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেও বাধ সেধেছে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা আর তাই আবারও রাজ্যে গরম অব্যাহত ছিল কিন্তু আসতে আসতে সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরে যেতেই বছরের শেষে ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যাটিং করা শুরু করেছে শীত।

তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমেছে। শুক্রবারের পর থেকে রোদ্দুর দেখা গিয়েছে আর রোদ্দুরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতের আমেজ। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সমস্ত জায়গাতেই শীতের থাবায় থরহরি কম্পমান। শনিবার মরসুমের শীতলতম দিন ছিল শহর কলকাতায়। যা রীতিমতো রেকর্ড ভেঙেছে দশ বছরের ইতিহাসকে। 2010 সালে ডিসেম্বর মাসে শহরের তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল দশ ডিগ্রির আশেপাশে এ বারও ঠিক তেমনই অবস্থা।

দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দার্জিলিঙে এ দিন হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হয়েছে। সেখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 1.6 ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু দার্জিলিং নয় সান্দাকফুতে হাড় হিম করা ঠান্ডা, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কালিম্পং শিলিগুড়ি সর্বত্রই কিন্তু ব্যাপক ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি বাঁকুড়া বর্ধমান পুরুলিয়ার মতো সমতল জায়গাগুলি।River Ganga in winter in Kolkata

অন্যদিকে আবার উত্তর পূর্ব ভারত জুড়ে কনকনে ঠান্ডা, উত্তর ভারতে দিল্লির তাপমাত্রা তো এক ডিগ্রি ছুঁয়েছে আর তাই 1901 সালের রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমেছে রাজধানী শহরে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর গত বছর শহর কলকাতায় 29 ডিসেম্বর তারিখে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 10.6 ডিগ্রী সেলসিয়াস।

2013 সালের মধ্যে তাপমাত্রা এতটা নীচে নামেনি বলে জানা গিয়েছে আবহাওয়া দফতর সূত্রে। যদিও শীতপ্রেমীদের কাছে দারুণ খবর কিন্তু এই দারুণ খবর যে বেশি দিন স্থায়ী হবে না তা এক প্রকার নিশ্চিত। বর্ষবরণ থেকেই দক্ষিণবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় হাল্কা থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

তাই তো আগামী মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে এমনটাই সম্ভাবনা জারি করেছে হাওয়া অফিস, কিন্তু বৃষ্টি শেষে আবারও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে।

সম্পর্কিত খবর