উনি আমায় ইস্তফা দিতে বলতে পারেন না! অভিষেককে পাল্টা তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : লোক ভর্তি জনসভায় অপমানিত হলেন তিনি। আর যিনি অপমান করলেন তিনিও তারই দলের লোক। শুধু তাই নয়, উঠে এল পদত্যাগের প্রসঙ্গও। আলোচনা হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা গ্রামের প্রধান ঝুমুরানি মণ্ডলকে নিয়ে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের তোপের মুখে পড়ে রীতিমতো হুংকার ছাড়লেন ঝুমুরানি। সাফ জানিয়ে দিলেন, অভিষেক তাঁকে পদত্যাগ করাতে পারেন না।

সূত্রের খবর, ভীষণ উত্তেজিত হয়ে গ্রামের লোকের সামনেই তাঁর পদত্যাগ নিয়ে অভিষেক মন্তব্য করে বসেন। কিন্তু, প্রশ্ন হল হঠাৎ করে কেন এতো রেগে উঠলেন অভিষেক? কারণ আর কিছুই না গ্রামে পৌঁছতেই গ্রামের মহিলরা তাঁকে ঘিরে ধরে একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করেন। তাঁদের কারোর বক্তব্য, তাঁরা কিছু পাননি। আবার কেউ বললেন, তাঁদের বাড়িতে বৃষ্টির সময় জল পরে। আবার কারোর দাবী গ্রামের রাস্তাটা বড্ড খারাপ। এইসব অভিযোগ শুনে তিনি কথা দেন গ্রামের সব সমস্যার সমাধান তিনি করবেন।

এরপরেই কাঁথি জনসভায় গিয়ে তিনি সরাসরি গ্রামের প্রধান ঝুমুরানি মণ্ডলের পদত্যাগের দাবী করেন। তিনি প্রচন্ড রেগে গিয়ে বলেন যে, গ্রামের এই অবস্থার জন্য গ্রামের প্রধান থেকে শুরু করে উপপ্রধান, অঞ্চল প্রধান সকলেই দায়ী। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাঁদের পদত্যাগ করতে হবে। নাহলে তিনি এবং তাঁর প্রশাসন এমন অব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবেন। গ্রামের দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে বিজেপির তরফে বলা হয় যে, যেহেতু তৃণমূল একটি বেসরকারি সংস্থা। তাই সে ক্ষেত্রে তাঁর মালিকের কথাই শেষ কথা।

Marishda

তবে, ঝুমুরানি বোধহয় কোনভাবেই অভিষেকের এমন ক্রুদ্ধ রূপ দেখতে হবে আশা করেননি। ফলে হঠাৎ করে পদত্যাগের কথা শুনে আকাশ থেকে পড়েন মারিশদা গ্রামের প্রধান ঝুমুরানি মণ্ডল। তিনি বলেন যে, গ্রামের লোকের ভোটে তিনি আজ গ্রাম প্রধান। হঠাৎ করে সাধারণ সম্পাদক তাঁর পদত্যাগের দাবী করতে পারেন না। গ্রামের লোক চাইলে তবেই তিনি এই পদ ছাড়বেন, নইলে না। যদিও, শেষ পাওয়া খবর অবদি ঝুমুরানি মণ্ডল পদত্যাগ করেছেন।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর