হেলায় ছেড়েছেন ২৮ লাখের চাকরি! কোনো কোচিং না নিয়ে প্রথমবারেই UPSC-তে সফল হলেন আয়ুষ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের অন্যতম একটি কঠিন পরীক্ষা হল UPSC (Union Public Service Commission)। এই পরীক্ষায় সফল হওয়ার লক্ষ্যেই দেশজুড়ে হাজার হাজার প্রার্থী অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেন। যদিও, তাঁদের মধ্যে মাত্র কিছুজনই হাসিল করতে পারেন সফলতা। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষায় সফল হয়েছেন।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তিনি এই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ২৮ লক্ষ টাকার প্যাকেজের চাকরিও ছেড়ে দিয়েছিলেন। হ্যাঁ বিষয়টি জেনে অবাক হয়ে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। আর এইভাবেই তিনি এক বিরল নজিরও তৈরি করেছেন। মূলত, আজ আমরা আপনাদের কাছে দিল্লির আয়ুষ গোয়েলের সফলতার কাহিনি তুলে ধরব। আয়ুষ তাঁর প্রথম প্রচেষ্টাতেই UPSC-র মত কঠিন পরীক্ষায় সফল হন।

তিনি ২০২২-এর UPSC-তে ১৭১ তম স্থান অর্জন করেছেন। যদিও, এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সফরটি তাঁর কাছে আদৌ সহজ ছিল না। বরং, এর জন্য তাঁকে কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে। জানা গিয়েছে যে, রাজকীয় প্রতিভা বিকাশ বিদ্যালয়ে পড়ার পর আয়ুষ স্নাতক শেষ করে CAT পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হন। CAT পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার তিনি কেরালার IIM কোঝিকোড়ে ভর্তি হন।

এদিকে, MBA করার পর আয়ুষ জেপি মর্গ্যান কোম্পানিতে বার্ষিক ২৮ লক্ষ টাকার প্যাকেজের চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য ছিল অন্য। তাই, তিনি এই বিপুল বেতনের চাকরি পেয়েও সন্তুষ্ট হতে পারেননি। বরং তিনি UPSC-র জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।

৭ মাসের মধ্যে চাকরি ছেড়ে দেন: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আয়ুষ একটি সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা সুভাষ চন্দ্র গোয়েল একটি মুদি দোকান চালান এবং মা মীরা দেবী একজন গৃহিণী। এদিকে, আয়ুষকে পড়াশোনার জন্য ২০ লক্ষ টাকার এডুকেশন লোনও নিতে হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, আয়ুষ মাত্র ৭ মাস চাকরি করেই সেটি ছেড়ে দেন। পাশাপাশি, তিনি তাঁর বাবা-মাকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি সিভিল সার্ভিসের জন্য প্রস্তুতি নিতে চান। ছেলের এই সিদ্ধান্ত মেনেও নিয়েছিলেন তাঁরা।

Ayush cleared UPSC first time without any coaching

এই প্রসঙ্গে আয়ুষ জানিয়েছেন, অনেক ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। জেনে অবাক হবেন যে, কোনো কোচিং ছাড়াই তিনি এই পরীক্ষায় সফলতা লাভ করেন। পাশাপাশি, প্রতিদিন আয়ুষ ৮ থেকে ১০ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন বলেও জানা গিয়েছে। আর এই ভাবেই তিনি প্রথম প্রচেষ্টাতেই তাঁর স্বপ্নপূরণ করে ফেলেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর