লোনা জলে ধান ও মাছ চাষের উপায় আবিষ্কার বাংলার বিজ্ঞানীদের, মমতা করলেন নামকরণ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমফানে (amphan) বিপর্যস্ত গোটা দক্ষিণবঙ্গ, বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কৃষিজমিতে ঢুকে গেছে লবনাক্ত সমুদ্রের জল। অনেকেই আশঙ্কা করছিল দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষয়ক্ষতির। কারন লোনা জল একবার কৃষিজমি বা পুকুরে ঢুকলে সেখানকার জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়। যা আগের অবস্থায় ফিরতে প্রায় ১০ বছর লেগে যায়৷ কিন্তু এবার বিজ্ঞানীরা জানালেন আশার কথা। তারা লোনা জলে মাছ ও ধান চাষ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।

images 2020 05 28T142409.314

বুধবার বিকেলে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাংলার কৃষি বিজ্ঞানীদের এই নতুন আবিষ্কারের কথা। বাংলার বিজ্ঞানীরা লোনা জলে নতুন এক প্রজাতির ধানের চাষ এর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। পাশাপাশি লোনা জলে চাষ হবে মাছও।

images 2020 05 28T142341.215

ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারনে তৈরি হওয়া প্রবল জলোচ্ছ্বাসে হেক্টরের পর হেক্টর কৃষি জমিতে নোনা জল ঢুকে গিয়েছে দুই চব্বিশ পরগনায়। সেখানকার চাষিরা এই নতুন বীজ দিয়ে চাষ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

জেলা প্রশাসনগুলিকে মুখ্যমন্ত্রী লোনা জল ঢুকে যেখানে চাষের ক্ষতি গিয়েছে সেসব জায়গায় চাষিদের এই বীজ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই নতুন বীজের নামকরণ করেন মমতা। এই বীজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নোনা স্বর্ণ!”
একইসঙ্গে যে সব পুকুর তথা জলাশয়ে নোনা জল ঢুকে মাছ চাষের ক্ষতি হয়েছে সেখানে মৎস্য দফতর আলাদা করে নোনা জলের মাছ দেবে। যাতে মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত মানুষকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই মাছগুলির নাম হবে ‘স্বর্ণ মৎস্য’।

সম্পর্কিত খবর