দীর্ঘ রোগভোগের শেষে চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের বাবা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার আবহে একের পর এক কিংবদন্তিকে হারাচ্ছে দেশ। এরই মধ্যে ফের একবার শোকের ছায়া ভারতীয় ক্রীড়া জগতে। একদিকে যেমন সোনাজয়ী দৌড়বিদ মিলখা সিংয়ের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে শোকগ্রস্ত ক্রীড়াজগৎ। তেমনি অন্যদিকে ক্রিকেটের জন্য রয়েছে বড় দুঃসংবাদ। চলে গেলেন ভারতের কিংবদন্তি পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের পিতা কিরণ পাল সিং। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। একদিকে যখন পরিবারে শোকের ছায়া অন্যদিকে তেমন ভালো যাচ্ছেনা ভূবির কেরিয়ার গ্রাফও। কয়েকদিন আগেই খবর রটেছিল তিনি টেস্ট খেলতে চান না। সেই কারণেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য সফরকারী দলে জায়গা পাননি তিনি। যদিও এ বিষয়ে টুইটে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন ভুবনেশ্বর। আপাতত বাড়িতেই ছিলেন এই স্যুইং মাস্টার। কিন্তু তারই মধ্যে এমন এক দুঃসংবাদে শোকগ্রস্ত গোটা পরিবার।

দীর্ঘকালীন যাবত ক্যান্সারে ভুগছিলেন কিরণ পাল সিং। এছাড়া ছিল লিভারের অসুখও। উত্তরপ্রদেশ পুলিশে চাকরি করতেন ভুবনেশ্বরের বাবা। কিন্তু অসুস্থতার কারণে সেখান থেকেও নিতে হয় স্বেচ্ছা অবসর। কিছুদিন যাবত মিরাটের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও মঙ্গলবারই মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। আপাতত বাড়িতেই ছিলেন কিরন। বাবার যথাসাধ্য সেবা করেছিলেন ভুবনেশ্বরও। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমবার ক্যান্সার ধরা পড়ে কিরণ পাল সিংয়ের। সেবার আরব আমিরশাহীতে আইপিএলের মাঝ পর্ব থেকেই ফিরে এসেছিলেন ভূবি।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপর নয়াদিল্লি এইমসে কেমোথেরাপি করানো হয় তার। পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল ইংল্যান্ডের কয়েকজন বিখ্যাত চিকিৎসকের কাছ থেকেও। দু সপ্তাহ আগে ফের একবার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে ভুবনেশ্বরের পিতার। সেই সূত্র ধরেই উত্তরপ্রদেশের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাকে বাড়িতে এনে রাখারই পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। আর তারপর মাত্র দুদিন কাটতে না কাটতেই চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন ভুবনেশ্বরের ছোটবেলার নায়ক।

 

Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর