শতাব্দীর গাড়ি ঘিরে ‘চোর’ ‘চোর’ স্লোগান! পাল্টা যা করলেন তৃণমূল সাংসদ… তুমুল চর্চা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়াটা রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের কাছে কোনও নতুন ব্যাপার নয়। এবার যেমন নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস প্রার্থী শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগান শুনতে হল বীরভূমের বিদায়ী সাংসদকে।

বীরভূমের (Birbhum) নির্বাচনে খুব বেশিদিন বাকি নেই। আগামী ১৩ মে ভোট রয়েছে সেখানে। এই মুহূর্তে জোরকদমে প্রচার করছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী শতাব্দী। রবিবারও প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। প্রচার সেরে সিউড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙালপাড়া অঞ্চল দিয়ে যাচ্ছিলেন বিদায়ী সাংসদ। সেই সময়ই তাঁকে দেখে ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগান তোলেন কয়েকজন।

শতাব্দীর যাওয়ার পথে জমায়েত করেছিলেন বেশ কয়েক যুবক। তাঁদের হাতে ছিল বিজেপির (BJP) পতাকা। তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ি কাছাকাছি আসতেই বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন তাঁরা। ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘চোর’ স্লোগান তোলা শুরু হয়। যদিও সেই স্লোগানে শতাব্দীকে কিন্তু সরাসরি ‘চোর’ বলা হয়নি। তবে তৃণমূল প্রার্থী সেই দিকে বিশেষ পাত্তা না দিয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান।

আরও পড়ুনঃ কলকাতায় কলেজ ছাত্রের বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার! যা যা পাওয়া গেল…মাথায় হাত পুলিশের

ভোটের আবহে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে এমন স্লোগান দেওয়া এবং বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে চর্চা। জেলা রাজনৈতিক মহলেও চাপানউতোর শুরু হয়েছে বলে খবর। তবে বিক্ষোভের মুখে পড়লেও শতাব্দী যেভাবে মেজাজ না হারিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন তার প্রশংসা করেছেন অনেকে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিউড়ির তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ সফি বলেন, ‘তখন আমরা সিউড়ি ১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলাম। বিজেপির হট্টগোলের খবর পাওয়ার পর আমাদের কর্মী, সমর্থকরা সেখানে যায়। প্রতিবাদ করে, পাল্টা স্লোগান দেয়। বিজেপির যুবকরা তখন সেখান থেকে পালিয়ে যায়’।

Satabdi Roy chor slogan

অন্যদিকে তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি তথা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর দীপক দাস আবার বলেন, ‘চোরকে চোর বলতে অসুবিধা কোথায়। কর্মীরা যেটা দেখেছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেটা নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর