ভোটের মুখে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম! তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করল BJP! নববর্ষেই ঝোলানো হল তালা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আবহে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্যের একাধিক জায়গা। রবিবার সকালে সন্দেশখালিতে তিন তৃণমূল (TMC) কর্মীর দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। এবার তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা লাগিয়ে দিল বিজেপি। ঘটনাটি ঘটেছে ‘শুভেন্দু গড়’ নন্দীগ্রামে (Nandigram)।

এদিন নন্দীগ্রামের ২ ব্লকের বিরুলিয়ায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা প্রথমে তৃণমূলের (Trinamool Congress) পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশ পুতুল পোড়ানো হয়। তারপর তৃণমূলের পার্টি অফিসে (Party Office) তালা দিয়ে গেরুয়া পতাকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এলাকায় যদি তৃণমূলের কোনও প্রকার কার্যকলাপ হয়, তাহলে ‘উপযুক্ত শিক্ষা’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব।

এদিন বিজেপির বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল। সেই সঙ্গেই হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অরূপ জানা সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।

আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে বেফাঁস দেব! মুখ ফসকে বলেই ফেললেন, ‘ গত ১০ বছরে…’, জোর চাপে তৃণমূল

বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজের জনসভা থেকে মেদিনীপুরকে গদ্দারের মাটি বলেছিলেন। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রতিবাদ স্বরূপ আজ পার্টি অফিসে তালা ঝোলানো হল। এখানকার মাটি বিপ্লবের মাটি। আর সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কিনা প্রকাশ্যে এখানকার মাটিকে গদ্দারের মাটি বলছেন। আসমুদ্রহিমাচল মেদিনীপুরকে সম্মান করেন। সেখানে আমাদের গদ্দারের মাটি বলার ফল টের পাইয়ে দেব’।

এখানেই না থেমে প্রলয়ের হুঁশিয়ারি, আজ শুধু পার্টি অফিসে তালা ঝোলানো হল। তবে পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেস যদি এখানে কোনও রাজনৈতিক কার্যকলাপ করে, তাহলে গদ্দার কাকে বলে সেটা দেখিয়ে দেওয়া হবে।

nandigram tmc party office occupied by bjp

এদিনে পার্টি অফিস দখলের খবর পেয়ে নন্দীগ্রামে ছুটে যান তমলুকের জোড়াফুল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে পার্টি অফিসে পৌঁছন তিনি। বিজেপির হাত থেকে দলীয় কার্যালয় মুক্ত করার পাশাপাশি বিজেপির গায়ের জোয়ারি এবং দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দেন দেবাংশু।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর