ডুয়ার্সের এই বনে ঘুরতে গেলে এবার দেখা মিলতে পারে কালো চিতাদের

জঙ্গলে ঘুরতে গিয়ে বাঘের দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আর যদি আপনি কালো চিতার (black panther) দেখা পান, তবে আপনার ভাগ্য যে সুপ্রসন্ন তাতে আর সন্দেহই থাকে না। এবার ডুয়ার্সের (dooars) জঙ্গলেও দেখা মিলতে পারে কালো চিতা বা ব্ল্যাক প্যান্থারের। বনদপ্তরের লাগানো ক্যামেরায় ৮ টি কালো চিতার অস্তিত্বের কথা জানা গিয়েছে।

IMG 20210102 131057 1

অমারাত্রির অন্ধকারের মতো ঘোর কালো রঙের এই চিতার দেখা মিলেছে বক্সার ব্যাঘ্র প্রকল্পের অভয়ারণ্যে। বছর খানেক আগে দুটি ব্ল্যাক প্যান্থারের দেখা মিলেছিল বক্সারে৷ এক ট্যুরিস্ট গাইড তাদের ক্যামেরাবন্দী করে রাখেন। বন দপ্তরের কাছে খবর যেতেই বসানো হয় ১৪০ টি ট্র‍্যাপ ক্যামেরা। সেই ক্যামেরাতেই ধরা পড়েছে অন্তত ৮ টি আলাদা আলাদা কালো চিতার ছবি।

তবে এই চিতার দেখা পাওয়া মোটেই সহজ নয়। সাধারণত রাতে শিকার করা এই প্রাণীরা প্রকাশ্য দিবালোকে জনসমক্ষে আসে না। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে আপনি তার দেখা পেলেও পেতে পারেন।

জানিয়ে রাখি, জাতীয় উদ্যানের আয়তন প্রায় ৭৬০ বর্গ কিলোমিটার। জাতীয় উদ্যানের মধ্যে একটি বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্র বা টাইগার রিজার্ভ রয়েছে। এই জাতীয় উদ্যানে ৩০০টিরও বেশি প্রজাতির গাছ, ২৫০টি প্রজাতির গুল্ম, ৪০০টি প্রজাতির ওষধি, ৯টি প্রজাতির বেত, ১০টি প্রজাতির বাঁশ, ১৫০টি প্রজাতির অর্কিড, ১০০টি প্রজাতির ঘাস, ১৩০টি প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ দেখা যায়।

এছাড়া আছে ১৬০টি প্রজাতির ফার্ন-জাতীয় উদ্ভিদ। গাছপালার মধ্যে শাল, চাঁপা, গামার, শিমুল, চিক্রসি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তবে ব্যাঘ্র প্রকল্প নামে হলেও এই অঞ্চলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব এই মুহুর্তে নেই।

 

সম্পর্কিত খবর