সাতপাক শেষে সিঁদুরদানের আগেই বেঁকে বসল কনে! ধর্নায় বরযাত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সারাদিন ধরেই চলছে বিয়ের তোরজোড়। কনের (bride) বাড়িতে বর (groom) সহ বরযাত্রীও উপস্থিত। বিয়ের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্পন্ন হয়েছে সাতপাক। কিন্তু সিঁদুরদানের আগেই বেঁকে বসলেন কনে। বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠে সোজা মণ্ডপ ছেড়েই বেরিয়ে গেলেন বিয়ের কনে।

ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খন্ড (jharkhand) রাঁচির ধূর্ব থানার অন্তর্গত মৌসিবাড়ি এলাকায়। রাঁচির মান্ডর এলাকার বাসিন্দা বিনোদ লোহরার সঙ্গে দেখাশোনা করেই বিয়ে ঠিক হয় মৌসিবাড়ির বাসিন্দা চন্দা লোহরা। কথাবার্তা অনুযায়ী ২৯ শে জুন বিয়ে করতে যান বিনোদ লোহরা। আর বিয়ের দিনই ঘতে বিপত্তি।

image 169135 1555772321

বিয়ের দিন ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করেন পাত্রীর বাবা। সকাল থেকেই বিয়ের আনন্দে সেজে ওঠে গোটা বাড়ি। অতিথিতে গমগম করতে থাকে সারা বাড়ি। সঠিক সময়ে উপস্থিতও হয় বর এবং বরযাত্রী। বিয়ের পিঁড়িতে বসে কনে। বিয়ের কাজ শুরুও হয়ে যায়। সাতপাক ঘোরা শেষে বাকি শুরু সিঁদুরদানের।

ঠিক সেই সময়ই বেঁকে বসেন পাত্রী। মণ্ডপ ছেড়ে উঠে যান। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সমস্ত ঘটনাটা ঘটে যায়। মেয়ের বাড়ির লোকেরাও প্রথমে বুঝতে পারেনি, কেন বিয়ের মন্ডপ ছেড়ে চলে যায় পাত্রী। পরে তাঁরা পাত্রীকে কারণ জিজ্ঞেস করতেই, সে জানায়- এ পাত্রকে তাঁর পছন্দ নয়।

sidur 01 big 20180603160809

এরপর দুবাড়ির অনেকেই পাত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও, কিছুতেই সে রাজী হয় না। পাত্রীর এমন সিদ্ধান্ত শুনে, উল্টো চাপ দেয় পাত্রপক্ষ। তাঁরা বাবা জগদীশ লোহরার কাছে দাবি জানায়, বিয়ের জন্য তাঁদের যা খরচ খরচা হয়েছে সব ফেরত দিতে হবে বলছে পাত্রপক্ষ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে একদিকে মেয়ের বিয়ের জোগাড় করে, অর্থ সংকটে পড়েছেন বাবা জগদীশ লোহরা। আর অন্যদিকে বরপক্ষের থেকে টাকার চাপে তিনি আরও ভেঙে পড়েছেন তিনি।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর