বাংলা হান্ট ডেস্ক : সংসদে নাগরিকত্ব আইন এখনও অবধি কার্যকর হয়নি কিন্তু আইন প্রণয়ন হয়েছে, তাতেই দেশজুড়ে বিরোধিতার ঝড়। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নয় অন্যান্য রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতার আগুন উস্কে উঠেছে। যদিও বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে দেশের মুসলিমদের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না এমনটাই ঘোষণা হয়েছে কিন্তু তা সত্ত্বেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে ক্ষোভ উস্কে উঠেছে তা কিছুতেই থামছে না।
তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে যে ভাবে বিরোধীরা মাঠে নেমেছে তাই এবার বিক্ষোভের আগুন নেভাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিজ্ঞাপনী প্রচার শুরু হয়েছে। এমনিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির তরফে মনমোহন সিংহ সরকারের আমলে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যে রাজ্যসভায় প্রস্তাব উত্থাপন হয়েছিল তা নিয়ে ভিডিও ছড়ানো হয়েছে কিন্তু তার থেকে কয়েক কদম দূরে গিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
জানা গিয়েছে এবার বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম এবং খবরের কাগজে এই তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচার চালানো হবে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য ও ভুল তথ্যের বিভাজন দেখে নেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন শুধুমাত্র পাকিস্তান বাংলাদেশ আফগানিস্তান এই তিন দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য প্রযোজ্য এবং ভারতীয় মুসলিমরা এই আইনের বাইরে থাকবেন। পাশাপাশি নাগরিক পঞ্জি সংক্রান্ত এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না।
মোদীর প্রতিবাদের আগুন প্রশমিত করতে ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনের আগে হিংসা চিত্রের পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে এসব নিয়ে প্রচার শুরু করেছে। এর মধ্যেই জেপি নাড্ডা থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় সকলেই কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে জনসাধারণের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরার কাজ শুরু করেছে।