চরম গাফিলতি! এবার কলকাতা হাইকোর্টের রোষের মুখে দুই বিচারক, শোরগোল তুঙ্গে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার আদালতের রোষের মুখে খোদ বিচারক (Judges)। ব্যারাকপুরের এসিজেএম এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলা জজের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক গাফিলতির (Administrative Negligence) অভিযোগ। আদালতের কথায়, হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরও তা গ্রহণ করেননি ওই দুই বিচারক। পাশাপাশি কোনও সঠিক জবাব না দেওয়ায় তাদের ওপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

ঘটনাটা কি? রাধেশ্যাম মহাপাত্র নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে এক প্রোমোটারের বিবাদের ঘটনায় দু জনই একে অন্যের বিরুদ্ধে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আজ থেকে প্রায় ছয় বছর আগে ২০১৭ সালে দায়ের সেই অভিযোগের রেকর্ড খুঁজে পেতে রাধেশ্যাম মহাপাত্র ব্যারাকপুর এসিজেএম আদালতে আবেদন জানান। তবে সেখানে কোনও সাড়া না মেলায় এরপর তিনি বারাসাত জেলা জজের কাছে আবেদন জানান। কিন্তু সেখানেও কোনও সুরাহা মেলেনি।

এরপর সরাসরি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মতো আদালত গত জুন মাসে ওই দুই বিচারককে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশও দেয় আদালত। কিন্তু তাতেও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই তাদের। জানা গিয়েছে হাইকোর্টের পাঠানো নির্দেশ গ্রহণই করেননি এসিজেএম।

আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপে উত্তাল আবহাওয়া! টানা তিন দিন ৫ জেলায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট: ওয়েদার আপডেট

ওদিকে নথি গ্রহণ করলেও জেলা জজ তরফে তার কোনও জবাব মেলেনি। বিচারপতিদের এহেন আচরণে চরম ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। সবদিক বিচার গত সপ্তাহেই আদালত তরফে নতুন নির্দেশ জারি করা হয়।

high court

আরও পড়ুন: নেশা, র‌্যাগিং শেষ নয়, যাদবপুরে তোলাবাজি! কত করে নেওয়া হত নতুনদের থেকে? প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য

হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের স্পষ্ট বক্তব্য, ঠিক কি কারণে নির্দেশ কার্যকরী হয়নি, তা ওই দুই বিচারককে আগামী শুনানিতে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। খোদ বিচারপতিদের এহেন আচরণ বিচারবিভাগের শৃঙ্খলাকে ভঙ্গের সামিল বলেও মনে করছে আদালত। আগামী ৩১ অগস্ট পরবর্তী শুনানি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর