এই গরমে আর যাবে না কারেন্ট! গ্রাহকদের জন্য অভিনব ব্যবস্থা CESC-র, শুনলে খুশি হয়ে যাবেন!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তীব্র গরমে হাঁসফাঁস দশা রাজ্যবাসীর। ফ্যানের হাওয়াও যেন সেভাবে কাজ দিচ্ছে না। এই অবস্থায় কারেন্ট চলে যাওয়াটা কোনও দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম নয়। আর এই দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিয়েই যেতে হচ্ছে অনেককে। কখনও মধ্যরাত, কখনও আবার ভরদুপুরে চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ (Power Supply)। অনেক সময় কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকছে ইলেকট্রিক সাপ্লাই। তবে এই সমস্যার সমাধান করতেই বিকল্প ব্যবস্থা করল CESC।

একদিকে তাপমাত্রার পারদ ৪০ পেরিয়েছে। অন্যদিকে শুরু হয়েছে কারেন্ট (Electricity) যাওয়ার সমস্যা। এ যেন গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া। আসলে গরম (Summer) পড়তেই রাজ্য জুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। আর সেই চাহিদা সামাল দিতে গিয়েই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে CESC। তবে এবার গ্রাহকদের সুবিধার্থে ভিনরাজ্য থেকে জেনারেটর (Generator) এবং ট্রান্সফর্মার (Transformer) নিয়ে এল বাংলার এই বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা।

মঙ্গলবারই সাত দশক পুরনো রেকর্ড ছুঁয়েছে কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রার পারদ। গতকাল তিলোত্তলার তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রির ঘরে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এখনও কোনও সুখবর শোনা যায়নি। তবে বাড়তি বিদ্যুতের জোগান দিতে CESC যে বিকল্প ব্যবস্থা করেছে তাতে মুখে হাসি ফুটেছে অনেকের।

আরও পড়ুনঃ SSC ২০১৬ সালের পর ২০২০-তেও দুর্নীতি? দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব করল হাই কোর্ট

তীব্র গরমে রাজ্য জুড়ে যে বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা দেখা যাচ্ছে, সেটা সামাল দেওয়ার জন্য ভিনরাজ্য থেকে ১০০টি ট্রান্সফর্মার এবং জেনারেটর আনা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মুম্বই থেকে আনা হয়েছে ২০টি জেনারেটর। গত ১৯ এপ্রিল থেকে শহরে আসছে এই জেনারেটরগুলি। রাজ্যের নানান জায়গায় পাওয়ার ব্যাক আপ হিসেবে এগুলিকে রাখা হচ্ছে।

CESC power supply

CESC-র তরফ থেকে এই প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, যেখানে যেখানে লোডশেডিং কিংবা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে, সেখানে যাতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা পাওয়া যায়, সেই কারণে এই জেনারেটর এবং ট্রান্সফর্মারগুলিকে আনা হয়েছে। উক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার অধীনে থাকা এলাকাগুলিতে বিশেষ করে এই জেনারেটর এবং ট্রান্সফর্মারগুলি ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। যে কারণে আচমকা বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেলেও লোডশেডিংয়ের সমস্যা হবে না বলে আশা করছে CESC কর্তৃপক্ষ।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর