বাংলার দুই শহিদ পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা ও চাকরির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত-চীন সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন বাংলার দুই জওয়ান। শহিদদের পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা করে সাহায্য ও পরিবারের কোনও সদস্যের সরকারি চাকরির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। গতকাল পূর্ব লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন বীরভূমের রাজেশ ওঁরাও এবং আলিপুরদুয়ারের বিপুল রায়। খবর আসার পরেই শোকে ভেঙে পড়ে দুই এলাকা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে সোমবার রাতে চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতি, সংঘর্ষে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের স্মরণে ট্যুইটও করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, ”গালোয়ান উপত্যকায় শহিদ সাহসী ছেলেদের পরিবারকে আমার আন্তরিক শোক, সমবেদনা জানাই। দুঃখের সঙ্গে বলছি, ওঁদের দুজন আমাদের রাজ্যের। ওঁরা সবাই দেশের জন্য যে চরম বলিদান দিয়েছেন, কোনওভাবেই তার ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয় বা স্বজনহারা শোকার্ত পরিবারের যন্ত্রণা, ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া যায় না। এই কঠিন সময়ে আমাদের এই ভূমিপুত্রদের আত্মীয়দের পাশে আমরা রয়েছি। নিহতদের দুজনের পরিবারপিছু একজনকে চাকরি, ৫ লক্ষ টাকা সাহায্য দেব আমরা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, দেশের স্বার্থে চরম দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গালোয়ান উপত্যকায় শহিদ হওয়া তিন ভারতীয় সেনা জওয়ানের সাহসকে কুর্ণিশ জানাই। সাহসী মানুষগুলোর পরিবারকে জানাই সমবেদনা। ঈশ্বর যেন এই কঠিন সময় মোকাবিলার শক্তি দেন ওঁদের।”

গ্রামের ছেলে সেনাবাহিনীতে যাওয়ায় গর্বে বুক ভরে উঠেছিল পরিবারের, পড়শিদের। তার উপর রাজেশ ছিলেন গ্রামের প্রথম যুবক যিনি সেনায় যোগ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনিই ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য। সব শেষ হয়ে গেল। খবর পাওয়ার পর থেকেই বারবার অচেতন হয়ে যাচ্ছেন রাজেশের মা মমতা।

অন্যদিকে গালওয়ানে শহিদ আলিপুরদুয়ার শামুকতলা থানার অন্তর্গত বিন্দি পাড়ার বিপুল রায়ও। গত কয়েক বছর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। বিপুলের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন গোটা আলিপুরদুয়ার।

Mamata 1 20200212 571 855

নিহত জওয়ান রাজেশ ওঁরাওকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বাবা-মাকে সমবেদনা জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। দেশ তাঁদের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যপাল বলেছেন, ”আমাদের সেনাবাহিনীর যোগ্য জবাব ব্যর্থ হবে না। শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রায় আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চরম বলিদানের জন্য দেশ ওঁদের কাছে ঋণী। আমরা যেন সবসময় মনে রাখি, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যে কোনও বলিদানের জন্য সদা প্রস্তুত থাকে বলে আমরা নিরাপদে আছি।”

 

সম্পর্কিত খবর