খালি পায়ে রোদে হাঁটছিল শিশু! নিজের বুটের ওপর দাঁড় করিয়ে জুতো কিনে দিলেন মানবিক পুলিশ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের সমাজে পুলিশকর্মীরা কার্যত ত্রাতার ভূমিকা পালন করেন। ঝড়-জল উপেক্ষা করেই তাঁরা নিজেদের দায়িত্বে থাকেন অবিচল। পাশাপাশি, যেকোনো সমস্যায় পড়লেই আমরা সাহায্যের আশায় ছুটে যাই তাঁদের কাছে। যদিও, বর্তমান সময়ে কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তবে, সেইসব ঘটনার পাশাপাশি, পাল্লা দিয়ে প্রকাশ্যে আসছে পুলিশকর্মীদের মানবিকতার বিভিন্ন ঘটনাও। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার আরও এক ঘটনা সামনে এল।

এমনিতেই বর্তমানে সারা দেশজুড়ে চলছে গ্রীষ্মের মরশুম। এমনকি, কিছু কিছু জায়গায় তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যার ফলে তীব্র দাবদাহের প্রভাবে অত্যন্ত খারাপ অবস্থা সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের। এমতাবস্থায়, গ্রীষ্মের এক দুপুরে দরিদ্র শিশুর প্রতি অভিনবভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মী।

জানা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরের রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারী কনস্টেবল রঞ্জিত সিং দুপুরের দিকে শহরের হাইকোর্ট মোড়ের পাশে দু’জন বাচ্চা ছেলেকে দেখতে পান। তারা মূলত রাস্তায় আবর্জনা তোলার কাজ করে। তাদের দু’জনের মধ্যে একজনের পায়ে ছিলনা কোনো জুতো। যে কারণে সেই প্রখর রোদে দাঁড়াতে কষ্ট হচ্ছিল তার। এমতাবস্থায়, রঞ্জিত সিং তার ওই অবস্থা দেখে সেই ছেলেটিকে নিজের কাছে ডাকেন এবং তার পা নিজের বুটের উপর রাখতে বলেন। এরপর রাস্তাটি যানজট মুক্ত হলে সেই দু’জনকে রাস্তা পার করিয়ে দেন তিনি।

এদিকে, এই দৃশ্য দেখে সেখানে উপস্থিত সকলে কনস্টেবল রঞ্জিত সিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন এবং অনেকেই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। জানা গিয়েছে, ওই বাচ্চটির নাম লাকি। সে ইন্দোরের গান্ধী হলের পিছনের বস্তিতে থাকে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ডিউটি শেষ করে রঞ্জিত ওই বাচ্চাটির জন্য একজোড়া নতুন জুতো নিয়ে যান। আর যা পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয় সে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল রঞ্জিত সিং সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি সবার কাছে “ড্যান্সিং কপ” নামে পরিচিত। অভূতপূর্ব স্টাইলের সাথে তিনি ট্রাফিক সামলান। এমনকি, ওই সংক্রান্ত একাধিক ভিডিও ইতিমধ্যেই তুমুল ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। এদিকে, এই ঘটনার প্রসঙ্গটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর সবাই তাঁকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর