‘সরকারি টাকা খরচ করে হোটেলে থাকি না’, বেসরকারি খামারবাড়ি সংস্কার প্রসঙ্গে বললেন মমতা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের মালবাজার সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে তাঁর থাকার জন্য দলীয় বিধায়কের খামারবাড়ি সংস্কার করা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে অভিযোগ করেছিলেন যে সরকারি অর্থে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি সংস্কার করা হচ্ছে। এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।

খামারবাড়ি সংস্কার করা নিয়ে ওঠা বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কোথাও তো থাকতে হবে। রাস্তায় তো পড়ে থাকতে পারি না।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “মালবাজারে সরকারি থাকার জায়গা কোথায়?” মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির মালবাজারের সরকারি সভায় যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে দাবি করেন, সরকারি টাকা খরচ করে কোনও হোটেলে থাকেন না তিনি। সে জন্য দলীয় বিধায়ক দুলাল দাসের খামারবাড়ি বেছে নিয়েছেন। 

একইসঙ্গে মালবাজারে অল্প টাকার মধ্যে একটি অতিথি নিবাস তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দুলালদার স্ত্রী বেঁচে থাকতে বার বার বলতেন, ‘মমতা আমার বাড়িতে এক বার এস’। তখন তাঁকে বলেছিলাম, ‘তুমি যে দিন কটেজ করবে, আমাকে বলবে, আমি যাব’। মালে একটা সরকারি থাকার জায়গা নেই। দুলালদার বাড়ি ছিল বলে আমি থাকতে পারলাম।” 

মালবাজার সফরে এসে সোমবার তেসিমলার ওই খামারবাড়িতে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আসার আগে, ‘নিরাপত্তা’র খাতিরে বেশ কিছু সংস্কারের কাজ হয় সেখানে। এটি নিয়েই টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ করেন, সরকারি টাকায় তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি সংস্কার করা হচ্ছে। 

এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখানে হোটেল আছে। সেখানে মুখ্যসচিব-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা সেখানে উঠেছেন। ভোটের সময় আমিও উঠেছিলাম। কিন্তু আমি হোটেলে থাকতে চাই না। সরকারের পয়সা কেন খরচ করব?” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, মালবাজার একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থান করছে। তাই সেখানে যদি একটি অতিথি নিবাস হয় তাহলে পর্যটকেরা থাকতে পারবেন।

একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, চা সুন্দরীতে চা শ্রমিকদের যেমন ঘর হচ্ছে, সেই একই মডেলের ঘরও তৈরি হতে পারে মালবাজারে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরে ইতিমধ্যেই এ দিন অতিথি নিবাসের জন্য জমি দেখার কাজ হয়েছে। যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়।

তিনি বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর থাকার জন্য যে সরকারি টাকা অপচয় হচ্ছে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই এখন মালবাজারেসরকারি অতিথি নিবাস তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

Avatar
Subhraroop

সম্পর্কিত খবর