বোলপুর ত্রিশূলাপট্টী দূর্গামাতা ক্লাবে পুরোদমে চলছে দূর্গা পুজোর প্রস্তুতি

সৌতিক চক্রবর্তী,বোলপুর,বীরভূমঃ বোলপুরে ত্রিশূলাপট্টী দূর্গামাতা ক্লাবে পুরোদমে চলছে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। পাশাপাশি পূজারীরাও নিচ্ছেন নানা প্রস্তুতি। দূর্গাপূজা উৎসব শান্তিপূর্ণ করতে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে বোলপুর চত্বর।

IMG 20190924 WA0063
ছবিঃ থিম শিল্পী প্রণতোস্মি নন্দী।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাৎসবের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শঙ্খ, ঢোল আর উলুধ্বনি দিয়ে বরণ করবেন তাদের আরাধ্য দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে। সে লক্ষ্যে,ত্রিশূলাপট্টী দূর্গামাতা ক্লাবে পুরোদমে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী সহ থিমের শিল্পীরা। এই বছর এই পূজা কমিটির থিম,“পটচিত্রে দেবীপক্ষ”।এই থিমকে সামনে রেখেই এই বছর এগিয়ে চলেছে দূর্গামাতা ক্লাব । এই পূজা কমিটির ৬৭ তম বর্ষে এই বছর বাজেট প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।

ক্লাবের সেক্রেটারি অনুপ মাহাতা জানান,“প্রতি বছরের মতো এই বছরেও ঠিক একই ভাবে আমরা দেবীর আরাধনা করবো। এই বছর আমাদের বাজেট প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। এই বছর আমরা একটা নতুন চমক নিয়ে আসছি।আমাদের পূজা মণ্ডপে যেমন বড়োদের মন কাড়বে তেমনি মন কাড়ব শিশুদের।”

ক্লাবের থিমের শিল্পী প্রণতোস্মি নন্দী জানান,“দূর্গামাতা ক্লাব তথা আমি প্রত্যেক বছরেই চেষ্টা করি বাংলার লোকশিল্পকে তুলে ধরার। সেই অর্থে এই বছর আমরা বহু প্রচলিত ও লুপ্ত প্রায় এই শিল্পকে তুলে ধরেছি। আর আমাদের পূজা মণ্ডপে এলে আগেকার দিনের পুরোনো শৈশবকাল ফিরে পাওয়া যাবে। আর এই পূজা মণ্ডপে এলে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী শিশুরাও আনন্দ পাবে।”

সাধারণ পূজারিদের কয়েকজন জানায়, দুর্গা মা আসছেন, প্রতি বছর তিনি আসেন এ নিয়ে আমাদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করেছে। সেই সাথে প্রস্তুতিও ভাল নেয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর