বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় আছে, ‘প্রেমে পড়লে মানুষ নাকি অন্ধ হয়ে যায়!’ বাস্তব জীবনেও এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটতে দেখা যায় যা এই বাংলা প্রবাদটিকে সত্য করে তোলে। তবে সম্প্রতি কোচবিহারে ঘটা একটি ঘটনা সবকিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছে যেখানে বন্ধুর প্রেমিকাকে পটানোর চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত মেয়েটির বাবাকেই পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে!
অবিশ্বাস্য শোনালেও এহেন অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছে বিশাল মণ্ডল নামের এক যুবক। কোচবিহারের মাথাভাঙা পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে নাবালিকার। কিন্তু এর মাঝেই ওই যুবকের বন্ধু বিশাল মণ্ডলও মেয়েটিকে চোখে হারাতে আরম্ভ করে। পরবর্তীতে সেই প্রেম এতটাই গভীর হয়ে ওঠে যে, দিনের পর দিন মেয়েটিকে ফোন করে বিরক্ত করতে থাকে সে। এমনকি তার উদ্দেশ্যে কটূ কথা বলতেও ছাড়েনা বিশাল। পরিবার সূত্রে খবর, গতকালও একইভাবে মেয়েটিকে ফোন করে বিরক্ত করতে থাকে সে। তবে এদিন ফোন কেড়ে অপর প্রান্তে থাকা বিশালকে ভাল মন্দ কথাও শুনিয়ে দেন মেয়েটির বাবা শিবু চন্দ।দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা মাঝে বিশালকে সাবধান হতে বলেন তিনি আর তাতেই ঘটে বিপত্তি!
প্রেমে বাধা দেওয়ার কারণে বিশালের রক্তচক্ষুর সামনে পড়তে হয় প্রেমিকার পরিবারকে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতের দিকে মেয়েটির বাড়িতে চড়াও হয় বিশাল এবং এরপর মেয়েটির বাবার সঙ্গে একপ্রকার কথা কাটাকাটি চলে তার। পরবর্তীতে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে যে, নাবালিকার বাবাকে মারতে আরম্ভ করে বিশাল এবং সেই বেধড়ক মারের কারণে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে সেই ব্যক্তি। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পরিবারের তরফ থেকে বিশাল মণ্ডলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এরপরই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং বর্তমানে তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
Made in India