হাত বাঁধা বেডের সঙ্গে, মাটিতে পড়ে করোনা আক্রান্ত রোগী, কেরলের হাসপাতাল গাফিলতির অভিযোগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হাত বাঁধা হাসপাতালের বেডের সঙ্গে, মাটিতে পড়ে রয়েছেন করোনা আক্রান্ত রোগী। সম্প্রতি কেরলের (Kerala) এক হাসপাতল থেকে এমনই এক ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যা ঘিরে বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে।

অভিযোগ উঠেছে কেরলের ত্রিশূর মেডিক্যাল কলেজের (Thrissur Medical College) বিরুদ্ধে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালের বেডের সঙ্গে হাত বাঁধা রয়েছে এক করোনা রোগীর। রোগীর বয়স ৬৭ বছর। বেডের সঙ্গে হাত বাঁধা অবস্থায় ওই বৃদ্ধা পড়ে রয়েছেন মাটিতে।

নিজের শাশুড়ির সঙ্গে হওয়া এই দুর্ব্যবহার দেখে বৃদ্ধার জামাই ফারুখ জানিয়েছেন, ‘আমার পরিবারের মোট ৬ জন সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আমি এবং আমার শ্বশুর বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। কিন্তু সেখানে থেকেই আমরা খবর পাই, পরিবারের বাকি সদস্যরা যেখানে ভর্তি ছিলেন, সেখান থেকে শুধুমাত্র আমার শাশুড়িকে ত্রিশূল মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তিরত করা হয়। সেখানে আমার শাশুড়িকে এক আত্মীয় দেখতে গিয়েই, হাসপাতালের এই অবহেলার চিত্র দেখতে পান এবং তিনি সঙ্গে সঙ্গেই তা ভিডিও করে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেন’।

amala institute of medical science amalanagar thrissur medical colleges uge6aio

পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘ওই রোগীর মানসিক সমস্যা ছিল। সেই কারণে মনোবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করেই তাঁর হাত বেঁধে রাখা হয়েছে। যাতে তাঁর হাতে থাকা ওই স্যালাইনের চ্যানেল না খুলে যায়।  তবে তিনি বেড থেকে পড়ে যাওয়ায় আমরা দুঃখিত। বৃদ্ধার বিশেষ কোন আঘাত লাগেনি। এখানে আমাদের কোন গাফিলিতি নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও এই বিষয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছি’।

এই ঘটনার ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেরলের কংগ্রেস সাংসদ টি এন প্রথাপন এই ঘটনার বিষয়ে দ্রুতই কোন পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজাকে একটি চিঠি লেখেন। তিনি লেখেন, ‘মানসিক সমস্যা থাকায় এক করোনা রোগীকে গত ২০ শে অক্টোবর ত্রিশূল মেডিক্যাল কলেজে স্থানন্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে এই মুহূর্তে কোন মনোবিদ ছিলেন না। তা সত্ত্বেও হাসপাতালের এমন একটি বেডে ওই বৃদ্ধাকে রাখা হয়েছিল, যার কোন সাইড রেলিং ছিল না। যার ফলে ওই বৃদ্ধা পড়ে গিয়ে আঘাতও পান। কিন্তু সেই দৃশ্যের ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর