অবাক কান্ড! ব্যাঙ্কের সার্ভারের সমস্যায় কোটিপতি হয়ে পাঁচ দিনে ৭৬ লক্ষ টাকা ওড়ালেন দম্পতি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এ যেন নিছকই মজার গল্প! তবে শুনতে মজা লাগলেও যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ সত্যি। লখনউর এক দম্পতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ১৯৮৩ টাকা। কিন্তু, হঠাৎই তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঘটে বিপুল লক্ষ্মীলাভ! প্রায় এক কোটিরও বেশি টাকা হঠাৎ করে ঢুকে যায় তাঁদের অ্যাকাউন্টে। আচমকাই এই পরিমাণ টাকার মালিক হয়ে কার্যত হতভম্ব হয়ে পড়েন তাঁরা। তবে, এই বিষয়ে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের কিছু জানাননি পেশায় পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী করণ শর্মা। বরং রাতারাতি কোটিপতি হয়ে তিনি শুরু করেন দেদার কেনাকাটা। আর তাতেই কাল হল ওই দম্পতির।

জানা গিয়েছে যে, তড়িঘড়ি করে স্ত্রীর জন্য একটি বিলাসবহুল গাড়ি সহ বাইক এবং কয়েক লক্ষ টাকার গয়না কিনেছিলেন করণ। মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যেই প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকার কেনাকাটা করেন তিনি। এদিকে, হঠাৎই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হওয়াতে স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ হয় ব্যাঙ্ক কর্মীদের। আর তারপরেই তারা তদন্ত করে জানতে পারেন যে, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ব্যাঙ্কের সার্ভারের সঙ্গে করণের কার্ড লিঙ্ক করা হয়ে রয়েছে। আর তা দিয়েই মনের আনন্দে কেনাকাটা করছিলেন ওই দম্পতি!

এদিকে, এই ঘটনার পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে বান্থরার পুলিশ আধিকারিক অজয় ​​প্রতাপ সিং জানিয়েছেন যে, করণ একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করেন। তাঁর অ্যাকাউন্টে ১৯৮৩ টাকা ছিল। কিন্তু, গত ১৭ ডিসেম্বর যখন তিনি একটি ডেবিট কার্ড দিয়ে কিছু কেনাকাটা করেছিলেন, তখন দেখা যায় যে তাঁর অ্যাকাউন্টে এক কোটিরও বেশি টাকা রয়েছে। তারপর থেকেই তিনি যথেচ্ছ কেনাকাটা শুরু করেন। একটি XUV গাড়ির পাশাপাশি, একটি বাইক এবং সোনাও কেনেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, একটি পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি কেনার জন্য আগেভাগেই প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়েও রেখেছিলেন তিনি। এভাবেই, প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকার কেনাকাটা করেছিলেন করণ। পরে, ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কাটি বাঘিয়ার কাছে থেকে করণ ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

26 12 2021 img 20211225 wa00181 22326992

একনজরে দেখে নিন কোন খাতে কত টাকা খরচ করেছিলেন করণ:
জানা গিয়েছে যে, করণ তাঁর স্ত্রীর জন্য প্রায় ১৮.৫০ লক্ষ টাকার গয়না কিনেছিলেন। পাশাপাশি, ১৫.৭১ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি XUV গাড়ি, ৫ লক্ষ টাকার মোবাইল, ১.৩৩ লক্ষ টাকার বাইক, এবং সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার চেক ইস্যু করেছিলেন। এছাড়াও অন্যান্য খাতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন তিনি।

 

 

 

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর