বাংলা হান্ট ডেস্ক : কপাল খারাপ অনুব্রতর! ফের নাকচ হল জামিনের আবেদন। পশ্চিমবঙ্গের মামলা কেন বাংলায় স্থানান্তর করা হবে না, প্রশ্ন তুলে গত বৃহস্পতিবার বিচারকের সামনে সওয়ালও করেছিলেন গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। অবশ্য এদিনের শুনানি শেষে ফের জামিন নাকচ করে অনুব্রত, তাঁর কন্যা সুকন্যা (Suknya Mandal) এবং প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই রাখলেন বিচারক।
আদালত সূত্রের খবর, শরীর খারাপ থাকায় এদিন আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয়নি অনুব্রতকে (Anubrata Mandal)। তবে সুকন্যা, সায়গলকে তোলা হয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে। বিচারক জামিন নাকচ করে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে মামলার টাকা (Cow Smuggling Case) জোগাড় করতে পারছি না বলে এজলাসে আক্ষেপ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল অনুব্রত কন্যাকে। এদিন জামিন নাকচ হওয়ার পর রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, চোখে মুখে দৃশ্যতই হতাশা দেখা গিয়েছে সুকন্যার।
গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গত বছরের ১১ অগস্ট বীরভূমের বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজত শেষে আসানসোল জেলেই ছিলেন তিনি। পরে আদালতের অনুমতিক্রমে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সম্প্রতি আসানসোল মহকুমা আদালত থেকে মামলাটি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপর হয় ইডি।
আরও পড়ুন : ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি, চলল গুলি, লুটপাট, আতঙ্কিত মালদহের মানুষ
এরই প্রতিবাদে গত ১০ অগস্ট ভার্চুয়াল শুনানিতে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারককে অনুব্রত বলেন, ‘শুনছি আমার কেসটা দিল্লি চলে যাবে? আমরা বাংলার মানুষ, আমাদের বাড়ি বাংলায়। সাক্ষী সহ সবার বাড়ি বীরভূম জেলায়। আমরা দিল্লি যাব কেন?’ নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টে যাওয়া যাবে কি না, সেদিন বিচারকের কাছে তাও জানতে চান কেষ্ট মণ্ডল। কিন্তু কিছুতেই আর কিছু হল না। আজ কার্যত হাপুসনয়নে কেঁদেও ফেলেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা।