লক্ষ লক্ষ টাকার চাকরি প্রত্যাখ্যান, অদম্য ইচ্ছার জেরে প্রথম চেষ্টাতেই IAS হলেন ধীরাজ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতি বছরই লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী IAS হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এবং পরীক্ষায়ও বসেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে সকলের ভাগ্য তো আর খুলতে পারে না। তবে বহু চেষ্টার পর খুব সামান্য জনেরই কপাল খুলে যায়। সেরকমই একজন হলেন উত্তরপ্রদেশের (uttar pradesh) গোরখপুরের বাসিন্দা ধীরাজ কুমার সিং (dheeraj kumar singh)। প্রথমবারেই এই IAS পরীক্ষায় বসেন এবং উত্তীর্ণ হয়ে যান।

ছোট থেকেই পড়াশুনায় ভালোই ছিলেন ধীরাজ। হিন্দি মিডিয়াম স্কুল থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই এমডি ডিগ্রিও অর্জন করেন। গ্রামের বাড়িতে তাঁর অসুস্থ মা রয়েছেন এবং বাবা কর্মসূত্রে শহরের বাইরে থাকেন। মায়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই তাঁকে বাড়ি যেতে হত এবং পড়াশুনাও কিছুটা ক্ষতি হত। এই চলার পথটা একেবারেই মসৃণ ছিল না ধীরাজের কাছে।

dheeraj kumar singh 2232

মায়ের শারীরিক সমস্যার কারণে এবং নিজে চিকিৎসক হওয়ার জন্য আধিকারিকদের অনুরোধ করেন, তাঁর বাবাকে যেন তাঁদের গ্রামেই ট্রান্সফার করা হয়। কিন্তু আধিকারিকরা তাঁকে একজন চিকিৎসক হওয়ার জন্যও নূন্যতম সম্মানও করেনি, উলটে অভদ্র ব্যবহার করেন তাঁর সঙ্গে।

এই আচরণে খুবই ব্যাথিত হন ধীরাজ। সেই কারণে তিনি সিভিল সার্ভিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমডি ডিগ্রি শেষ করার পর, মাসিক ৫ লক্ষ টাকা আয়ের সুযোগ পেয়েও তা ছেড়ে দেন ধীরাজ। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকা সত্ত্বেও তিনি ঠিক করেন একজন IAS হবেন।

এরপর উঠে পড়ে লাগেন ধীরাজ। শুরু করেন সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য জোরদার পড়াশুনা। পরিবারের সদস্যরা তাঁর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও, কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজ তিনি একজন IAS অফিসার হতে সক্ষম হয়েছেন। ধীরাজ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যদি প্রথম বারের চেষ্টায় সফল না হতে পারেন, তাহলে আবারও তাঁর নিজের পুরনো পেশায় ফিরে যাবেন। কিন্তু প্রথমবারের চেষ্টাতেই ২০১৯ সালে ৬৪ র‍্যাঙ্ক করেন ধীরজ কুমার সিং।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর