কি হচ্ছে সংসদের ভেতর, কে কি বলছে জনতার জন্য, এবার সব দেখতে পাবে সাধারণ মানুষ, লঞ্চ হল ‘ডিজিটাল সংসদ অ্যাপ’

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সংসদীয় কার্যক্রমকে শুধু সদস্যদের কাছেই নয়, বরং সাধারণ মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে লোকসভার সচিবালয় একটি নতুন অ্যাপ চালু করেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে “ডিজিটাল সংসদ অ্যাপ”। গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি, আনুষ্ঠানিক ভাবে লঞ্চ করা হয় এই অ্যাপের।

সংসদ সদস্যদের নোটিশ, হাউস বুলেটিন এবং ব্যক্তিগত আপডেটের মত পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেসে সহায়তা করার জন্য নতুন এই অ্যাপটি চালু করেছে লোকসভার সচিবালয়। স্পিকার ওম বিড়লা দ্বারা পরিকল্পিত এই অ্যাপটি সাধারণ মানুষদের সমস্ত সংসদীয় আপডেট পেতে সহায়তা করবে।

“ডিজিটাল সংসদ অ্যাপ” সম্পর্কে বলতে গিয়ে, ওম বিড়লা জানিয়েছেন যে, “একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে, স্বচ্ছতার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা সংসদের কর্তব্য৷ ‘ডিজিটাল সংসদ অ্যাপ’ হল সংসদের সামগ্রিক এবং অবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার একটি ক্ষমতায়ন উপলব্ধি৷ সেই লক্ষ্যেই আমরা অগ্রসর হচ্ছি।”

এই অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড এবং IOS উভয় প্ল্যাটফর্মেই উপলব্ধ। একজন সিনিয়র আধিকারিক এই প্রসঙ্গে দাবি করেছেন যে, “ডিজিটাল সংসদ অ্যাপ” আন্তর্জাতিকভাবে সংসদের কয়েকটি অ্যাপের মধ্যে অন্যতম একটি, যা আইন প্রণয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি সদস্যদের জন্য পরিষেবাগুলির একটি সুস্পষ্ট ধারণা দেয়।

Sansad app

ভবিষ্যতে, এই অ্যাপের মাধ্যমে সংসদের সদস্যরা উপস্থিতির জন্য লগ ইন করতে পারবেন। পাশাপাশি, প্রশ্নোত্তরের জন্য প্রশ্ন দিতে পারেন বা বিতর্ক অথবা মুলতবি প্রস্তাবের জন্য নোটিশও জমা দিতে পারেন। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই অ্যাপের ব্যবহারকারীরা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও, “ডিজিটাল সংসদ অ্যাপ”-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা হাউসের লাইভ কার্যক্রম, সদস্যদের প্রোফাইল, প্রশ্নোত্তর অথবা দিনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদিও খুব সহজেই দেখতে পারেন।

এই প্রসঙ্গে বিরোধী নেতারা অবশ্য উল্লেখ করেছেন যে, মহামারী চলাকালীন সংসদের কাজকর্ম সম্পূর্ণ ডিজিটালি হওয়া উচিত এবং হাউস প্যানেলগুলির অনলাইন বৈঠকের অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল। গত দুই বছরে ডিজিটাল সভা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য বিরোধী আইন প্রণেতাদের বেশ কয়েকটি আবেদন গ্রহণ করা হয়নি বলেও জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর