বিধানসভা উপনির্বাচনে হার মেনে এনআরসির প্রভাব স্বীকার করে দিলেন দিলীপ, সঙ্গে দিলেন হুঙ্কার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা ভোটে একে বারে শাসক শিবিরের ধারে কাছে নিঃশ্বাস ফেলে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফলে বিজেপির ধরাশয়ী হুঙ্কার ও আশা কোনওটাই ধোপে টেকেনি। এমনিতে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভিত নড়বড়ে হয়েছে তার উপরে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা উপনির্বাচনে তিন তিনটি কেন্দ্রই দখল করেছে শাসক শিবির।ghosh

লোকসভা ভোটের মতো বিধানসভা উপনির্বাচনেও ভালো ফলাফলের আশা করেছিল বিজেপি এমনকী জয়ের ব্যাপারে একেবারেই নিশ্চিত ছিল কিন্তু শেষে হারতে হল ই । এমনকি নিজের দুর্গ অর্থা খড়্গপুরে জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ তবে ভোটের ফল প্রকাশের পর চিত্রটা বদলে গেল, তাই কার্যত এনআরসি নিয়ে বিজেপির আগ্রাসী প্রচার যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে তা একপ্রকার স্বীকার করেই নিলেন দিলীপ ঘোষ তবে তার জন্য শাসকদলকে দোষারোপ করতেও ছাড়ল না।

এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাতকারে দিলীপ ঘোষ জানান, এনআরসি নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করে রাস্তায় নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্ত্রীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছে কাকা আপনারা কবে এসেছেন? আপনাদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রশাসন সরকারের প্রচারের প্রভাব পড়তে পারে। যদিও শুধুমাত্র দিলীপ ঘোষই নন হারের পরে কালিয়াগঞ্জ বিজেপি প্রার্থী কমল চন্দ্র সরকার হারের কারণ হিসেবে এনআরসি কেই দায়ী করেছিলেন।

তবে এনআরসি নিয়ে মানুষকে বোঝাতে না পারলেও এ বার ওষুধ বার করেছেন বলে জানান দিলীপ। তাই শাসক দলের বিরুদ্ধে এক হাত নিয়ে খড্গ়পুরে মাফিয়াদের দিয়ে ভোট করানো হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন রাজ্য সভাপতি। তবে হ্যাঁ উপনির্বাচনের জন্য রাজ্যে বিজেপির কোনও প্রভাব পড়বে না এমনটাই বলছেন দিলীপ ঘোষ। তাই উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে লোকসভা ভোটে যেভাবে যোগী আদিত্যনাথের বিপুল জয় হয়েছে সেই কথাও তুলে ধরেন দিলীপ।

সম্পর্কিত খবর