আজব কাণ্ড! হেলমেট ছাড়া গাড়ি, সিটবেল্ট ছাড়া বাইক চালানোয় কাটা হল চালান

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হামিরপুর থেকে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, রীতিমতো অদ্ভুত উপায়ে গাড়ি ও বাইকের চালান কেটে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছে ওখানকার পুলিশ। মূলত, সংশ্লিষ্ট জেলার কুড়ারা থানার পুলিশ আধিকারিক দেবীদীন হেলমেট না পরে গাড়ি চালানোর জন্য এক ব্যক্তির উদ্দেশ্যে ১,০০০ টাকার চালান জারি করেছেন। হ্যাঁ, শুনে অবাক হয়ে গেলেও ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে।

তবে, বিষয়টি এখানেই থেমে নেই। এর পাশাপাশি ওই একই থানার আরেক আধিকারিক তীরথ রাজ পান্ডে সিটবেল্ট না পরে বাইক চালানোর জন্য একজনের ১,০০০ টাকা জরিমানা করেছেন। এমতাবস্থায়, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এই দু’টি ঘটনার জেরে রীতিমতো খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে কুড়ারা থানার পুলিশ। এমনকি, সর্বত্রই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাড়াও পড়ে গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, হামিরপুর জেলার পুলিশ নভেম্বরে ট্রাফিক সচেতনতা মাস উদযাপন করছে। যার অধীনে সকাল-সন্ধ্যা জুড়েই সেখানকার সব থানা চেকিং অভিযান চালাচ্ছে। এমতাবস্থায়, যাঁরা ট্রাফিক নিয়ম মানছেন না তাঁদের চালানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যদিও, পুলিশের অতিসক্রিয়তার ফলেই আবার এহেন ঘটনাও ঘটছে।

জানা গিয়েছে, কুড়ারা থানায় নিযুক্ত ইন্সপেক্টর দেবীদীন, গাড়ি চালানোর সময়ে হেলমেট না পরার জন্য বিনয় কুমার দুবে নামের এক ব্যক্তির উদ্দেশ্যে হাজার টাকার চালান কেটে দেন। মূলত, বিনয় কুমার তখন একটি Wagon R গাড়ি চালাচ্ছিলেন। যদিও, এই বিষয়ে ইন্সপেক্টর দেবীদীনের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি সেটিকে একটি “ক্লারিক্যাল মিস্টেক” হিসেবে অভিহিত করেন।

Pollution Certificate Challan

এদিকে, সোমবার কুড়ারা থানায় নিযুক্ত ইন্সপেক্টর তীরথ রাজ পান্ডেও সিট বেল্ট ছাড়া বাইক চালানোর জন্য একজনের উদ্দেশ্যে হাজার টাকার চালান কেটেছেন। পাশাপাশি, ওই চালানে বাইকটির ছবিও আপলোড করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বাইকটির মালিক লক্ষন সিং জালাউন জেলার বাসিন্দা। তিনি তাঁর বাইকটি (UP 92 AD 2729) নিয়ে কুড়ারা হয়ে জালাউন যাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায়, পুলিশ অধিকারিকরা জানান যে, ওই দুই চালান ইতিমধ্যেই বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে ওই ইন্সপেক্টরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর