বাড়িতে জ্বলে মাত্র দুটি ইলেকট্রিক বাল্ব, অথচ বিদ্যুৎ বিল ১ লক্ষ টাকা, মাথায় হাত বৃদ্ধার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : অবাক কান্ড! তাঁর গোটা বাড়িতে জ্বলে মাত্র দু’টি বাল্ব। কিন্তু যখন বিদ্যুৎ বিল (Electric Bill) এল তখন তা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ। বিলে উল্লেখিত টাকার পরিমাণ দেখে ভিরমি খাওয়ার উপক্রম বৃদ্ধার। এক মাসের বিল পাঠানো হয়েছে ১ লক্ষ ৩ হাজার টাকা।

ওই বৃদ্ধার নাম গিরিজাম্মা। বয়স প্রায় নব্বই বছর। কর্নাটকের (Karnataka) ভাগ্যনগরের বাসিন্দা। একটা ছোট্ট ঘরে বাস করেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দেয় ক্ষমতায় ফিরলে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল তার উল্টো ছবি। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ তো পাননি, বরং বিদ্যুৎ বিলের বিশাল বোঝা তাঁর ঘাড়ে চেপেছে। তা-ও আবার মাত্র দু’টি বাল্ব জ্বালানোর জন্য! অবস্থা দেখে কপাল চাপড়াচ্ছেন ভাগ্যনগরের গিরিজাম্মা।

জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের ‘ভাগ্য জ্যোতি’ প্রকল্পের অধীনে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছিলেন গিরিজাম্মা। এই প্রকল্পের অধীনে দারিদ্যসীমার নীচে বসবাসকারী বস্তির মানুষদের ন্যূনতম মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প অনুযায়ী ১৮ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে গিরিজাম্মার মতো বিপিওএল কার্ড হোল্ডারদের।

sidda shiva karnataka

এক মাসে এক লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল পেয়ে দিশাহারা এই বৃদ্ধা। গিরিজাম্মার দাবি, প্রতি মাসে ৭০-৮০ টাকা বিদ্যুৎ বিল দেন। কিন্তু এক মাসে এত বিল দেখে তিনি অবাক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বাড়ির বাইরে একটি বাল্ব জ্বলে এবং ভিতরে আর একটি। না আছে টিভি, না আছে মিক্সার গ্রাইন্ডার। তার পরেও এত বিল! কী ভাবে সম্ভব?’

তিনি কি বিদ্যুৎ দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছেন? এ প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমকে গিরিজাম্মা বলেন, ‘গুলবর্গা বিদ্যুৎ দফতরে বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু আধিকারিকেরা বলেছেন, বিলে যে পরিমাণ টাকা এসেছে তা মেটাতে হবে!’ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয়েরা গিরিজাম্মার বাড়িতে যান। তাঁর দেখেন, বৃদ্ধার বাড়িতে যে মিটার বসানো হয়েছে সেটি পুরনো এবং ত্রুটিপূর্ণ।

এর পরই তাঁরা বিদ্যুৎ দফতরে ক্ষোভ দেখান। ক্ষোভের মুখে পড়ে বিদ্যুৎ দফতর থেকে প্রতিনিধিরা এসে আশ্বাস দেন মিটার বদলে দেওয়া হবে। গিরিজাম্মার বিলও শুধরে দেওয়া হবে।

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর