আমেরিকায় থাকা প্রবাসী ভারতীয়রা দত্তক নিল ভারতের ৬২ টি গ্রাম, চলছে স্মার্ট ভিলেজ তৈরির কাজ

Bangla Hunt Desk: প্রাবসী ভারতীয় হয়েও সুদূর আমেরিকা থেকেও দেশের জন্য ভাবছে এই মানুষগুলো। তাঁদের সাহায্যেই তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) পুডুককোটাই জেলার আটানাকোটাই গ্রামের বাচ্চারা বর্তমানে অনলাইন শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। মানুষজন সঠিক পদ্ধতিতে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করছে।

লক্ষ্য- ‘স্মার্ট গ্রাম’ গড়ে তোলা
আহমেদাবাদ ভিত্তিক গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ফার্ম আমেরিকায় বসবাসরত ভারতীয়দের সহাওতায় ‘স্মার্ট গ্রাম’ (smart gram) গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবতীর্ণ। ফার্মের প্রধান নির্বাহী জগৎ শাহ জানিয়েছেন, তাঁদের টার্গেট- ১৯ টি রাজ্যের ৬২ টি গ্রামকে ‘স্মার্ট গ্রাম’ হিসাবে গড়ে তোলা। ১০০০ দিনের মধ্যে এই কাজের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাঁদের। এই গ্রামগুলিকে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়রা একপ্রকার দত্তক হিসাবে নিয়েছে।

   

cow 6

এগিয়ে আসে প্রাবাসী আমেরিকান ভারতীয়রা
২০১৮ সাল থেকে তাঁদের এই কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪৪ টি গ্রামে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। প্রতিটি গ্রামে প্রায় ১০ লক্ষ থেকে ৮ কোটি করে অর্থ ব্যয় হয়েছে। এই কাজের বিষয়ে জগৎ শাহ জানিয়েছেন, ‘আমি কাজের সুবাদে আমেরিকার ৩৫ টি গ্রামে সফর করেছি। সেখানে প্রায় ১৫০০ ভারতীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বুঝতে পেরেছি, তারা তাঁদের গ্রাম নিয়ে খুবই চিন্তিত। তারা গ্রামের জন্য কিছু করতে চায়। আমি তখন তাঁদের এই স্মার্ট গ্রামের বিষয়ে ধারণা ব্যক্ত করি, আর তখন তারা অনেকেই এই কাজে এগিয়ে আসে’।

কিভাবে হয় এই কাজ?
তিনি আরও জানিয়েছেন, কোন NRI ব্যক্তি যে গ্রামকে দত্তক নেয়, তাঁকে সেই গ্রামে ৩ দিন থাকতে হয়। আমরা পঞ্চায়েত সদস্যদের সাথে মিলিত ভাবে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষের সুবিধা অসুবিধার তালিকা তৈরি করি। তারপর গ্রামের যুবকদের নিয়ে দল তৈরি করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। সেখানে গ্রামের মানুষদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে তারা তাঁদের সুবিধা অসিবিধার বিষয় কর্তৃপক্ষের সামনে তুলে ধরতে পারে।

প্রতি ৩ মাস অন্তর এই গ্রামের উন্নয়নের কাজের মূল্যায়ন করা হয়। সিএসআর তহবিল, কেন্দ্রীয়-রাজ্য পরিকল্পনা, এমপি এবং বিধায়ক তহবিল এমনকি পঞ্চায়েত তহবিল থেকে গ্রামের উন্নতির স্বার্থে অর্থ ব্যয় করা হয়। এই নতুন উদ্যগের ফলে বর্তমান সময়ে ওইসব গ্রামের বাচ্চাদের জন্য স্থানীয় ভাষায় রেকর্ড করে অনলাইন শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, মহিলারা ঘরে বসে কুটির শিল্পের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছ। পাশাপাশি কৃষকরা ফসল প্রক্রিয়াজাত করে, অর্থাৎ টমেটো বা চিনাবাদাম সরাসরি বিক্রি না করে কেচাপ এবং চিনাবাদাম মাখন বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর