জীবনকৃষ্ণের মোবাইল খুঁজে এখন বড়ঞার নায়ক! “সিবিআই কি পুরস্কার দেবে না?”, প্রশ্ন সঞ্জীবের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার আন্দি গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জীব বাগদি এখন এলাকা জুড়ে খুবই পরিচিত একটি নাম। নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে ধৃত জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) ফেলে দেওয়া দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছেন সঞ্জীব। ৬৬ ঘন্টা ধরে সিবিআই আধিকারিকেরা যে পুকুরে হন্যে হয়ে খুঁজেও উদ্ধার করতে পারেননি মোবাইল, সেটি উদ্ধার করেন সঞ্জীব।

সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা মনে করছেন ফেলে দেওয়া এই মোবাইলের মধ্যে রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের বহু তথ্য। যে পুকুরটি থেকে এই মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় সেটি পাঁকে ভর্তি। সেই পাঁক ঘেঁটে ফোনটি উদ্ধার করেন সঞ্জীব। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সঞ্জীব প্রতিদিন সকাল হলেই বেরিয়ে পড়েন কাজের সন্ধানে। রাজমিস্ত্রির জোগাড় থেকে নর্দমা সাফাই, পেটের জন্য ছোটখাটো সব কাজই করেন তিনি।

সারাদিন কাজ করে কখনো তার রোজগার হয় দুশো টাকা, আবার কখনো ৫০ টাকা। কিন্তু নিজের কষ্টকে ভুলে সঞ্জীবের মুখে এখন চওড়া হাসি। তার নাম এখন ছড়িয়ে পড়েছে এলাকা জুড়ে। তৃপ্তির হাসি হেসে তার প্রশ্ন, “আমি তো সিবিআই এর একটা কাজ সহজ করে দিলাম। কোনও পুরস্কার পাবো না?” কিন্তু কিভাবে উদ্ধার করলেন মোবাইল ফোনটি?

jiban krishna saha tmc

সঞ্জীব জানিয়েছেন, “পুকুরের পাশে একটি খেজুর গাছ ছিল। সেখানে ছিল ঝোপ। পাঁক জড়ো করে রাখা দুপাশে। আমার মনে হল ওখানে তো কেউ সন্ধান চালাচ্ছে না। আমি একবার দেখি। এরপর আমি হাত দিলাম পাঁকের মধ্যে। সেই সময় একটি প্লাস্টিক প্যাকেট হাতে এলো। প্যাকেট খুলে দেখি তার মধ্যে রয়েছে কালো রঙের একটি মোবাইল ফোন। সেটা দেখার পর সবাই হই হই করে উঠল। আমি বুঝলাম কাজ হয়ে গেছে।”

 

 

 

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর