জাত-পাত ভুলে মুসলমান বৃদ্ধের প্রাণ বাঁচাতে ১০ জন হিন্দু দিল রক্ত

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান’। তারই দৃষ্টান্ত মিলল  উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) শামলীতে (Shamli) । লকডাউনের (lockdown) সময়ও পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের এমন একটি চিহ্ন দেখা গিয়েছে। যা দেখে সাধারণ মানুষ খুব খুশী। দেখা গিয়েছে একজন অসুস্থ মুসলমানকে বৃদ্ধের জন্য রক্ত দিতে ১০ জন মানুষ এগিয়ে এসেছিলেন। যারা প্রত্যেকেই জাতে হিন্দু। যারা সকলেই গৃহকর্মী থেকে শুরু করে সরকারী কর্মচারী রক্তদানের আবেদনকে কেন্দ্র করে একটি রক্তদানের জনতা ভিড় করল।

শামলির বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সী নূর মোহাম্মদ (Nur Mohammad) প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ ছিলেন। দু’দিন আগে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পরে তাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল, সেখানে চিকিৎসকরা তাকে বলেছিলেন যে তাঁর দশ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন। লকডাউনের কারণে এত ইউনিট রক্ত ​​জোগাড় করা খুব কষ্টের ছিল। পরে রক্তের ব্যাক অপারেটর অজয় ​​সংগালের সাথে চিকিৎসকের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। এর পরে, কয়েক ঘন্টার মধ্যে দাতাদের কাছ থেকে রক্তের ব্যবস্থা করা শুরু হয়। দশ জন রক্ত ​​দিয়েছেন এই দশটি দাতা হিন্দু ছিলেন, গৃহবধূ সীমা মিত্তাল থেকে শুরু করে কালেক্টরেটের কর্মচারী মনোজ কুমার। এসব দেখে নূর মোহাম্মদ পরিবারের চোখ ধাঁধিয়ে গেল।

lockdown 2222

এমনকী, ব্যাংক ও কম্পোনেন্ট সেন্টারের ম্যানেজার অজয় ​​সাঙ্গাল জানিয়েছেন, অতীতে জাগলান ব্লাড গ্রুপ শামলির নামে সামাজিক কর্মী রবি জগলান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি তৈরি করেছেন, এতে অনেক দাতা যুক্ত আছেন।
মানুষ তাদের ধর্ম এবং বয়স না দেখে রক্তদান করতে আসে। শনিবারও, এই গ্রুপের কারণে অস্টাল, নূর মোহাম্মদকে ভর্তি রোগীর জন্য দশ ইউনিট রক্তের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কয়েক ঘন্টাের মধ্যেই এই গোষ্ঠীর কারণে। রক্তদানকারীদের মধ্যে সীমা মিত্তাল, সাগর, কেশব, সতেন্দ্র পাল, মনোজ কুমার, ভাসু, রাধে, অভিজিৎ মিত্তাল, শিবম মিত্তাল, গৌরব ও তুষার জৈন প্রমুখ।

shamali

নূর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন,’ আব্বা এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ ছিলেন। দু’দিন আগে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে নার্সিংহোমে ভর্তি করি। হওয়ার সময় তাকে মারাত্মক জন্ডিস ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ১০ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হবে। আমর মন খুব খারাপ হয়ে যায়। কে এই লকডাউনে রক্ত ​​দিতে আসবে। চিকিত্সক ব্লাড ব্যাঙ্কে কথা বলেছেন এবং হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা প্রেরণের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই হিন্দু ভাইবোনরা রক্ত দান করেন। তাতে আমরা সবাই খুশী।

সম্পর্কিত খবর