গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রর পাশে গঙ্গারামপুরবাসী ?

পল মৈত্র,দক্ষিন দিনাজপুরঃ দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানের তথা জেলার দাপুটে নেতা বিপ্লব মিত্রের সহোদরের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থার প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন গঙ্গারামপুরের সাধারণ মানুষ । তাদের পরিস্কার কথা এই অনাস্থা তারা মানেন না । প্রয়োজনে অনশন শুরু করবেন । তাঁরা চান প্রশান্ত মিত্রই চেয়ারম্যান থাকুক । এদিকে অনাস্থার পর নিজের শক্তি দেখাতে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করলেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । ভাইস প্রেসিডেন্ট সহ ১৩ জন কাউন্সিলর তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রশান্তবাবু। গত মাসের ২৪ জুন দিল্লীতে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিপ্লব মিত্র ।

তারপরেই তাঁর ঘনিষ্ঠ ও অনুগামীদের দল থেকে ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সদ্য সভাপতি অর্পিতা ঘোষ । গত ২৫ জুন অনাস্থা প্রস্তাব আনেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলর । অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেছিলেন, “প্রশান্ত মিত্র তাঁর দাদার সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন । গোটা রাজ্যের মানুষ সে কথা জানেন। এদিকে গঙ্গারামপুর পৌরসভাতে বেশ খোশ মেজাজে রয়েছেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । ৯ জন কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেও বিন্দুমাত্র বিচলিত নন চেয়ারম্যান । প্রশান্ত মিত্র আত্মবিশ্বাসী, তিনি আস্থা ভোটে জিতবেন । তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষকে বহিরাগত বলেও কটাক্ষ করেন তিনি । বলেন, “২৫ জুন আমাদের কাউন্সিলাররা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন । পুর আইন অনুযায়ী সাতদিনের মধ্যে কাউন্সিলরদের চিঠি দিয়ে পনেরো দিনের মধ্যে মিটিং সম্পন্ন করতে হবে । ইতিমধ্যে ১ সপ্তাহ হয়ে গেছে । এই সপ্তাহের মধ্যে মিটিং ডেকে আমি আস্থা প্রমাণ করব ।

আমাদের গঙ্গারামপুর পৌরসভার সব কাউন্সিলর আমার সঙ্গে রয়েছেন । নিয়মিত তাঁরা আমার সাথে যোগাযোগ রাখছেন। “গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন, “আমরা ৯ জন কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছি । আজ পর্যন্ত চেয়ারম্যান ভয়ে মিটিং ডাকতে পারেননি । ৯ জন ছাড়া আমাদের সঙ্গে আরও ২ জন কাউন্সিলর যোগাযোগ রাখছেন । উনি এত ভয় পাচ্ছেন কেন মিটিং ডেকে আস্থা অর্জন করে দেখাক না ।

IMG 20190702 WA0077চেয়ারম্যান যে অঙ্গীকারপত্র দেখাছেন তা বহু পুরোনো । যখন বিপ্লববাবু তৃণমূলে ছিলেন তখন আমরা ওঁর সঙ্গে ছিলাম । বর্তমানে উনি বিজেপিতে যাওয়ার পর আমরা তাকে আর মানি না বা মানবার কোন প্রশ্নই উঠেনা।”

সম্পর্কিত খবর