‘নমাজ পড়তে হলে মসজিদে যান!’ এয়ারপোর্টে আলাদা কামরার দাবি করায় তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিমানবন্দরের নমাজ (Namaz) পড়ার জন্য আলাদা কক্ষ তৈরির আবেদন খারিজ করে দিল অসমের (Assam) গৌহাটি হাইকোর্ট (Gauhati High Court)। আদালত জানিয়েছে, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ (Secular) দেশ। কোনও একটি সম্প্রদায়ের জন্য এই ধরনের ব্যবস্থা কার্যকর করা যাবে না। নমাজ পড়ার জন্য মসজিদ (Mosque) রয়েছে, যে পড়তে চায় তাকে সেখানে যেতে হবে।

জানা গিয়েছে, রানা সুদাইর জামান নামে এক মুসলিম (Muslim) সম্প্রদায়ের ব্যক্তি গুয়াহাটি বিমানবন্দরের (Airport) নমাজের জন্য আলাদা কক্ষ নির্মাণের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। ২৯ সেপ্টেম্বর গৌহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতির সুস্মিতা ফুকন খাউন্ডের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।

শুনানি চলাকালীন মামলাকারীকে বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, ‘সংবিধানের কোথায় উল্লেখ রয়েছে যে, সমস্ত পাবলিক প্লেসে (Public Place) প্রার্থনা কক্ষ থাকতে হবে? সরকার কিছু বিমানবন্দরে প্রার্থনা কক্ষ নির্মাণ করেছে, এর মানে কি এটাই যে সকলের বলা উচিত, সমস্ত পাবলিক প্লেসে নমাজের কক্ষ রাখা উচিত। তাহলে শুধু বিমানবন্দরে কেন? সমস্ত পাবলিক প্লেসে কেন এমনটা হবে না? এমন দাবি করা কি মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে? নমাজ পড়তে চাইলে তার জন্য মসজিদ রয়েছে। সেখানে গিয়ে পড়ুন।’

এরপর আবেদনকারী বলেন, ধূমপানের (Smoking) জন্য স্পা ও রেস্টুরেন্টের নিয়ম আছে। নমাজের জন্যও আলাদা ঘর থাকতে হবে। এরপরই হাইকোর্ট পাল্টা বলে, ধূমপানের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি করা হয় যাতে অন্যের উপর কোনও প্রভাব না পড়ে। তাছাড়া হোটেল-রেস্টুরেন্টে আয় হয়। কিন্তু মানুষ নমাজ পড়তে গেলে কোনও রোজগার (Income) হবে না।

namaz 2

এরপর শুনানি চলাকালীন ওই আবেদনকারী বলেন, বেশিরভাগ ফ্লাইট নমাজের সময় হয়, তাই আলাদা কক্ষ প্রয়োজন। পাল্টা আদালত জানিয়ে দেয়, যে কোনও যাত্রীর ফ্লাইটের (Flight) সময় বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যাত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী ফ্লাইট বুক করা যেতে পারে। এরপরেই আবেদনকারীর আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত।

Avatar
Monojit

সম্পর্কিত খবর