সম্প্রতি EPFO-র দখল নিতে নয়া বিল প্রকাশ করছে কেন্দ্র

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দ্বিতীয়বার ফের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে দিল্লির আসনে বসেছেন মোদি৷ বিপুল আশা ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা মোদি সরকার এবার চাকরিজীবীদের জন্য আনতে চলেছে নয়া খবর৷ জানা যাচ্ছে স্বশাসিত ইপিএফও সংস্থার পরিচালনায় দায়িত্ব পুরোপুরি নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে চাইছে কেন্দ্র৷ আর এতেই আশার আলো দেখছেন চাকরিজীবীদের এক অংশ।

 

ইপিএফও বা কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন এতদিন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীর অধীনে স্বশাসিত সংস্থা হিসেবে চাকরিজীবীদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করে আসছিল এতদিন৷ কত শতাংশ হারে ইপিএফে সঞ্চিত অর্থের উপর চাকরিজীবীরা লোনে সুদ পাবেন তাও নির্ধারিত করত ওই সংস্থা৷ কিন্তু এবার সেই স্বশাসিত সংস্থার রাশ নিজেদের দখলে আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে দিল্লির নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ আর তার ফলে ইপিএফের ১০ লক্ষ কোটি টাকার দায়ভার সম্পূর্ণ ভাবে নিজেদের কাঁধে চাপিয়ে নিতে চলেছে মোদির সরকার৷

IMG 20190922 190155

জানা যাচ্ছে, ইপিএফও নিয়ন্ত্রণে একটি বোর্ড গঠন করা হবে শীঘ্রই৷ সেই বোর্ডের তত্ত্বাবধান করবে কেন্দ্রীয় সরকার৷ প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করতে পারবে কেন্দ্র৷

কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক ইতিমধ্যেই ইপিএফও’র দখল নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার বিষয়ে সামাজিক সুরক্ষা কোড বিল ২০১৯ খসড়া  প্রস্তুত করে ফেলেছে৷ ওই খসড়া প্রস্তাবে উল্লেখিত হয়েছে, পদাধিকারবলে ইপিএফও কর্মচারীদের ইএসআই দায়িত্ব নেবে কেন্দ্র৷ পুরো বিষয়টিতে কেন্দ্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে বলেও জানানো হয়েছে৷ এই মর্মে বিলের খসড়া অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে৷

 

আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই বিলের ওপর মতামত জানতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে৷ আশা করা যাচ্ছে, অক্টোবরের মাঝামাঝিতে শুরু হওয়া সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে এই বিল তুলতে পারে কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ এই নতুন বিল পাস হলে চাকরিজীবীদের পিএফের সুদের হার সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা কী হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে চলে যাবে৷ আর তাতেই চাকরিজীবীদের নিজস্ব দাবি-দাওয়া আদায় করতে তাদের কেন্দ্র সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পর্যবেক্ষক মহলের অধিকাংশ৷

সম্পর্কিত খবর