৭৫০০ দেওয়ার কথা, দিচ্ছে মাত্র ১০০০! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কারচুপি সরকারের? ভোটের মাঝেই ফাঁস

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। তফশিলি জাতি-উপজাতি এবং অনগ্রসর জনজাতির মহিলাদের ভাতার পরিমাণ হল ১২০০। এবার এই প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)।

কলকাতা হাই কোর্টের এই প্রাক্তন বিচারপতি লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন। তমলুক থেকে তাঁকে দাঁড় করিয়েছে গেরুয়া শিবির। এরপর থেকে একাধিকবার তৃণমূলকে (TMC) নিশানা করেছেন তিনি। এবার যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সরব হলেন এই রাজনীতিক।

লোকসভা ভোটের আবহে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। যে কারণে মুখে হাসি ফুটেছে রাজ্যের মহিলাদের। এর প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের। তবে এবার এই প্রকল্প নিয়েই সুর চড়ালেন অভিজিৎ। তমলুকের বিজেপি প্রার্থী বলেন, মাসিক ১০০০ কিংবা ১২০০ নয়, প্রথমে বাংলার প্রত্যেকটি পরিবারপিছু মাসিক ৭৫০০ টাকা করে অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব ছিল।

আরও পড়ুনঃ রামমন্দিরে আমন্ত্রণ জানালেও কেন যাননি মমতা? ভোটের মুখে বাংলায় এসে শাহ বললেন, ‘কারণ ওঁরা…’

অভিজিতের দাবি, বাংলার স্বনামধন্য এক অর্থনীতিবিদের প্রস্তাব ‘চুরি’ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তথা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রণব বর্ধন নাকি একবার রাজ্যের প্রত্যেকটি পরিবারপিছু মাসিক ৭৫০০ টাকা করে অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ‘আইডিয়া’ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপি প্রার্থী। অভিজিৎ বলেন, প্রণব বর্ধন পরিবারপিছু মাসিক ৭৫০০ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও, সেটা না মেনে অল্প টাকা দিয়ে নিজেদের দিকে ভোট টানার চেষ্টা করছে তৃণমূল।

Lakshmir Bhandar

উল্লেখ্য, চব্বিশের লোকসভা ভোটে তমলুক কেন্দ্রের দিকে নজর থাকবে অনেকের। তৃণমূল, বিজেপি, বাম, তিন দলের তরফ থেকেই হেভিওয়েট প্রার্থী দেওয়া হয়েছে এই কেন্দ্রে। তৃণমূল এই আসনে দাঁড় করিয়েছে যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। অন্যদিকে বামেদের তুরুপের তাস তরুণ আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর